জুমবাংলা ডেস্ক : মৌসুমের শুরুতে ঝড়-বৃষ্টি আর দাবদাহের কারণে রংপুরে এবার হাঁড়িভাঙা ফলন গেলবারের তুলনায় অর্ধেকে নেমে আসতে পারে। কৃষকরা বলছেন, অতিরিক্ত সূর্যের তাপে ঝড়ে পড়ছে গুটি। পরিচর্যা করেও খুব একটা কাজে আসছে না। যদিও কৃষি বিভাগের দাবি, কৃষকদের খুব বড় ক্ষতি হবে না।
সরেজমিনে জেলার আম বাগানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সবুজ পাতায় ভরে আছে গাছ। কিন্তু নেই কাঙ্ক্ষিত আমের দেখা। গাছে গাছে আমের গুটির খরা। গাছগুলোতে ছোট ছোট যে আম এসেছে তাও ঝরে পড়ছে রোদের তীব্রতায়। এমন পরিস্থিতি রংপুর জেলার বেশিরভাগ বাগানেই। টানা খরা ও চলমান দাবদাহে তাই চিন্তার ভাঁজ দীর্ঘ হচ্ছে আমচাষিদের কপালে।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়গাছ ইউনিয়নের আম চাষি হোসেন মিয়া বলেন, ‘নিজের ৯ বিঘা জমিতে আম চাষ করলেও ঝড়-বৃষ্টি আর অতিরিক্ত খড়ায় তার ৫ বিঘা জমিতে আমের গুটি ঝড়ে পড়ে। এখন বাকি ৪ বিঘা জমির আম রক্ষায় রীতিমতো যুদ্ধে নেমেছি।’
হোসেন মিয়া বলেন, ‘চলতি বছর বাগানে অল্প গুটি এসেছিল। সেই গুটি ধরে রাখতে এখন যুদ্ধ করতে হচ্ছে। প্রায় দিনই সেচসহ কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। তারপরও গুটি ঝরা রোধ করা যাচ্ছেনা। এতে আমের ফলন বিপর্যয় ঘটবে এবার। এমন অবস্থা জেলার বেশির ভাগ বাগানেরই।’
কৃষকরা জানান, পর্যাপ্ত সেচ ও বালাইনাশক স্প্রে করলেও গুটি ধরে রাখা যাচ্ছে না।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, শুরুতেই ঝড়-বৃষ্টি পরে টানা তাপপ্রবাহে আমের গুটি কিছুটা কম হলেও ফলন ঠিক রাখতে নিয়মিত পরিচর্যার পাশাপাশি পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। জেলার ৩ হাজার ৩শ ৩৫ হেক্টর জমির বাগানে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন হাড়িভাঙ্গা আম উৎপাদন হবে।
রংপুর জেলায় এবার ৩ হাজার ৩শ ৩৫ হেক্টর জমিতে আমারে আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ১৯শ ৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে হাড়িভাঙ্গা আমের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।