জুমবাংলা ডেস্ক : বাবার প্রকৃত পরিচয় তুলে ধরতে ডিএনএর নমুনা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী।
সোমবার দুপুরে সিআইডির ল্যাবে উপস্থিত হয়ে নমুনা জমা দেন তিনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণেই মাহমুদুর রহমান নামে আত্মগোপনে ছিলেন হারিছ চৌধুরী। তবে দাফনের সময় কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান নাম ব্যবহারের বিষয়টি তিনি জানতেন না। পরিচয় নিয়ে এই বিড়ম্বনার জন্য সাবেক সরকার দায়ী।
এর আগে, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান বিএনপির এই নেতা। ঐদিনই সাভারের বিরুলিয়ার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসার কবরস্থান প্রফেসর মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা হয় তার মরদেহ।
মৃত্যুর ১১৩৮ দিন পর গত ১৬ অক্টোবর দুপুর ফরেনসিক বিভাগ, সিআইডি, স্থানীয় সরকার সচিবের প্রতিনিধি, জেলা রেজিস্ট্রারের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহটি কবর থেকে তোলা হয়। সেই মরদেহ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করতেই ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে সিআইডি কার্যালয়ে নিজের নমুনা দেন হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী।
পরে নমুনা প্রদান করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে সামিরা তানজিন চৌধুরী বলেন বলেন, ১৫ বছর ধরে আমার বাবার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই লেখা হয়েছে। কেউ বলেছে তিনি লন্ডনে। কেউ বলেছেন এখনো বাবা বেঁচে আছে। কিন্তু আমরাই জানি আমাদের বাবা আর নেই। তাকে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করেছি এবং তিনিই হারিছ চৌধুরী। বিগত স্বৈরাচার সরকারের ভয়ে আমরা বাবাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে পারিনি। বাধ্য হয়ে করোনাভাইরাসের সময় সাভারে বাবাকে কবর দেওয়া হয়। বাবার মৃত্যুসনদ চেয়ে আবেদন করা হলেও স্বৈরাচার সরকার আমাদের কথা শোনেনি। এখন প্রকৃত সত্যটা তুলে ধরার সময় এসেছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেই প্রকৃত সত্যটা আমরা জাতির সামনে তুলে ধরতে পারবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।