বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : হার্লে-ডেভিডসন এই নাম অনেকেই শুনেছেন আগামীদিনে হয়ত আরও বেশি করে শুনতে পাবেন। কিন্তু নাম কানে এলেও চড়ার সৌভাগ্য কত জনের হয়েছে? খোঁজ করলে দেখা যাবে ভারতে খুব কম মানুষের কাছেই রয়েছে এই বাইক।

আসলে এর একটি বড় কারণ মোটরসাইকেলের দাম হলেও দেশে বাইকের পর্যাপ্ত উপলব্ধতা না থাকায় অনেকের কাছেই এই বাইক প্রিমিয়াম হাই-এন্ড মোটরবাইকে পরিণত হয়েছে। তবে শীঘ্রই এই চিন্তাভাবনা বদলাতে চলেছে হিরো মটোকর্প এবং হার্লে-ডেভিডসন।
মিড রেঞ্জ বিভাগে আসতে চলেছে এই বাইক। পাশাপাশি হিরো মটোকর্প যেহেতু দু চাকাটির উত্পাদন এবং আফটার সেলসের দায়িত্বে থাকবে। তাই আশা করা হচ্ছে, Harley-Davidson X440 এর নাগাল পেতে খুব একটা কাঠখড় পোড়াতে হবে না ক্রেতাদের।
ঠিক কী কী কারণে এই বাইকের জন্য আপনি অপেক্ষা করতে পারেন চলুন জানা যাক।

ইঞ্জিন
এই মোটরসাইকেলে থাকতে চলেছে 440 সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন হতে পারে এয়ার কুল্ড ইউনিট। 350 থেকে 400 সিসি ইঞ্জিনের মোটরসাইকেলগুলি সাধারণত 20 থেকে 28 ব্রেক হর্সপাওয়ার এবং 25 থেকে 27 এনএম টর্ক তৈরি করে। আশা করা হচ্ছে এই বাইকেও শক্তিশালী পারফরম্যান্স পাবেন রাইডাররা।

প্রিমিয়াম লুক
আপনি কি এই মুহূর্তে রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক 350, হন্ডা সিবি350 অথবা বাজাজ ডমিনার 400 কেনার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে খানিক অপেক্ষা করে যেতে পারেন। কারণ বেশ আকর্ষণীয় লুকের সঙ্গে আসতে চলেছে এই বাইক। যে ছবি প্রকাশ করেছে সংস্থা তা দেখে মনে হচ্ছে প্রিমিয়াম টাচ পাওয়া যাবে এই বাইকে। তবে বাস্তবে মোটরবাইক চড়ার সময়ও এই প্রিমিয়াম টাচ অনুভূত হবে কিনা তা দেখার বিষয় হবে।

লাইটিং ও ফিচার্স
হার্লে ডেভিডসন বাইকের যে ছবি নেটমাধ্যমে প্রকাশ করেছে সংস্থা তে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বাইকের হেডলাইট হতে চলেছে গোল। হেডলাইট, টেললাইট এবং টার্ন ইন্ডিকেটর সবই LED পাবেন ক্রেতারা। ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল পড ইউনিট থাকবে মোটরসাইকেলে।

হার্ডওয়্যার
হার্লে ডেভিডসন মোটরসাইকেলের মিলবে সিঙ্গেল ডাউনটিউব টুবুলার ফ্রেম চেসিস।সাসপেনশনের ক্ষেত্রে সামনে থাকবে আপসাইড ডাউন ফ্রন্ট ফর্ক (USD) এবং পিছনে টুইন শক অ্যাবসর্বার। ব্রেকিংয়ের কথা যদি বলি তাহলে এটির দু চাকাতেই মিলবে ডিস্ক ব্রেক সঙ্গে থাকবে ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম, সাসপেনশনের ক্ষেত্রে বড় চমক হতে পারে USD ফর্ক। কারণ রয়্যাল এনফিল্ড এবং হন্ডা উভয় সংস্থাই টেলিস্কপিক ফর্ক ব্যবহার করে।

দাম
যেখানে গিয়ে সবচেয়ে বেশি আটকান ক্রেতারা তা হল দাম। আপাতত নিশ্চিত যে হার্লে-ডেভিডসন X440 সংস্থা এন্ট্রি-লেভেল অর্থাৎ সবথেকে সস্তা মোটরবাইক হতে চলেছে। এই বাইক দিয়েই ভারতে নতুন যাত্রা শুরু করতে পারে মার্কিন সংস্থাটি। এই বাজারে যে সব মোটরসাইকেলগুলি রয়েছে তাদের বেশিরভাগেরই দাম 2 থেকে 3 লাখের মধ্যে। স্পষ্টত না জানা গেলেও আশা করা হচ্ছে হার্লে-ডেভিডসনের এই রোডস্টার বাইকের দাম 2.5 লাখ থেকে 3 লাখ টাকার মধ্যে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



