জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন মৃত্যদণ্ডের বিপক্ষে জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের ক্ষেত্রেও তাদের অবস্থান একই।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ-ডিক্যাব আলোচনায় গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন জার্মান রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে রুডিগার লোটজ বলেন, জুলাই সনদ অনুসারে সংস্কার প্রক্রিয়ার চলমান থাকা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। যা নির্বাচনের পরেও চলমান থাকা দরকার।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্বাচন নিয়ে পদক্ষেপের ওপর আস্থা রাখছে জার্মানি। ২০২৬ সালের সবচেয়ে বড় ভোট হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা করছে জার্মানি।
এসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে জার্মানি বাংলাদেশের পাশে আছে বলেও জানান তিনি।
স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা ভুয়া তথ্য বা সঠিকভাবে আবেদন না করা। যা ভিসা দেয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে আবেদনের আহ্বান জানান তিনি।
জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে আনা ৫টি অভিযোগের মধ্যে তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড এবং দুটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গত ১৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়ে শেখ হাসিনা ও কামালের দেশে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



