জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও তাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা সহজ হবে না বলে মনে করেন আইনজীবীরা। তারা বলছেন, এজন্য দরকার ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং বোঝাপড়া। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সচল হলে পরোয়ানা জারির আবেদন করবেন তারা। তবে সব কিছু নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপর।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থান রুখে দিতে নির্বিচারে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়ার। এছাড়া ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হত্যা, অপহরণ, গুম করার অভিযোগে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। আদালত ও থানা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয় ১৬৮টি। এর মধ্যে হত্যা মামলার সংখ্যা ১৪৭।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যা, গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায়। শুরু হয়েছে তদন্ত। বিচারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে ঘুরে ফিরে একটি প্রশ্নই সামনে আসছে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে দেশে এনে কি বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করা সম্ভব?
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বলছেন, ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগ হলেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হবে। তবে তাকে ফিরিয়ে আনা কিংবা না আনা নির্ভর করবে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর।
তাজুল ইসলাম বলেন, এটা সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার হবে। কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হবে। সেটা সরকার যথা সময়ে গ্রহণ করবে বলে মনে করি। আপাতত আমরা মনে করি, ট্রাইব্যুনাল গঠন হলে যখন ফরমালি কোনো অভিযোগ দায়ের করা হবে, তারপর আমরা প্রয়োজনীয় আদেশ চাইবো। সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ট্রাইব্যুনালের আদেশের আলোকেই হবে।
আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া মনে করেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরেয়ে আনা সহজ হবে না। কেন না শুধু আইনি প্রক্রিয়াই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং দুই দেশের বোঝাপড়া।
তিনি বলেন, আমি বলছি না যে অসম্ভব। কিন্তু সেই কূটনৈতিক চ্যানেল ও আলাপ-আলোচনা দরকার। কারণ শুধু গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেই তাকে ফিরিয়ে আনা যাবে বলে মনে করি না। সেটি নির্ভর করবে, দুপক্ষের আলোচনার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ভারসাম্যের ওপরে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। ২০১৩ সালে হওয়া এ চুক্তির আলোকে দুই দেশই বেশ কয়েকজন বন্দিকে প্রত্যর্পণ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।