জুমবাংলা ডেস্ক : শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলার এক আওয়ামী লীগ নেতা। ওই নেতার বিরুদ্ধে তারই আপন ভাইয়ের পরিবারসহ প্রতিবেশী ৬ পরিবারের করা সংবাদ সম্মেলনে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম গাজী মো. ইউসুফ। তিনি কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারীরা তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৫ বছর জবরদখল করে অনেক পরিবারের জমি দখল, মামলা-হামলাসহ নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, ৫ আগস্টের পরে আমরা কিছু জমি উদ্ধার করলেও গাজী মো. ইউসুফ পালিয়ে বরিশাল চলে যান এবং সেখান থেকেই তার পরিবারের লোকজন দিয়ে তিনি রাতের আঁধারে প্রতিবেশী হাবিব মৃধার ৩ শতাধিক লাউ গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫ শত গাছ কেটে ফেলেন। যার মূল্য আনুমানিক ৫ লাখ টাকা। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৬৫৯/২০২৪।
তারা আরও অভিযোগ করেন, আমাদের জমি-জমা দখল করে নিয়ে আবার আমাদের নামেই মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়াতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এমনকি শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসলে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। ব্যক্তি হিসেবে গাজী ইউসুফ একজন জঘন্য মানুষ। এলাকায় যে কারও কাছে তার বিষয় জিজ্ঞাসা করলে সত্যতা পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে শাহজাহান বিশ্বাসের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন তার ভাইয়ের ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে গাজী ইউসুফের আপন ভাই গাজী ইউনুসের পরিবারসহ ৬টি পরিবারের ১৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
শাজাহান বিশ্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে আমার ৫৯৪ এসএ ও ১০৭১ বিএস দাগের জমিসহ বেশ কিছু জমি দখল করে নেওয়া হয়। কিছু জমি উদ্ধার করতে পারলেও এখনও আমাদের জমি গাজী মো. ইউসুফ দখল করে আছে। সেই জমি উদ্ধার করা ঠেকাতে তিনি নানা ভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গাজী মো. ইউসুফ জানান, দল ক্ষমতায় থাকাকালীন আমার দ্বারা কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। কারও জমি-জমা দখল করিনি। তারা আমার নামে মিথা অভিযোগ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।