জুমবাংলা ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠেয় ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, সাউথ আফ্রিকার সমন্বয়ে বাজার অর্থনীতির বর্ধিষ্ণু দেশগুলোর শান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও সহযোগিতাবিষয়ক ফোরাম) শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠক হতে পারে। সম্মেলন চলবে ২১ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। মোদি ও হাসিনা এ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে। বাংলাদেশে আগস্ট হচ্ছে ‘শোকের মাস’।
সাধারণত এ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফর করেন না। এবার যেহেতু ব্রিকস গোষ্ঠীতে নয়া সদস্য রাষ্ট্র অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে, তাই তিনি সফর করবেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জেনেভায় সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রিকসে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। দক্ষিণ আফ্রিকা বর্তমান ব্রিকস প্রেসিডেন্ট। পরে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাও জানান, বাংলাদেশ ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী।
সম্প্রতি কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে যে, ভারত সম্প্রসারণের বিরোধী। এ বিষয়ে সর্বশেষ সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ খণ্ডন করে বলেন, আমরা ব্রিকস সম্প্রসারণে বিরোধিতা করছি, এ তথ্য সম্পূর্ণ ভুল।
আবারও বলছি ভুল। বরং চতুর্দশ ব্রিকস সম্মেলনে রাষ্ট্রনেতারা ব্রিকস সম্প্রসারণে সহমত হয়েছিলেন। এখন ব্রিকস সমন্বয়কারী সব রাষ্ট্রের শেরপারা এ বিষয়ে আলোচনা করছেন। আমরা মনে করি সব কিছুই ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। নয়া সদস্য রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি চূড়ান্ত হলেই নয়া সদস্য নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ছাড়াও সৌদি আরব, আর্জেন্টিনা ও কয়েকটি রাষ্ট্র ব্রিকস সদস্য হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে ৭০টি রাষ্ট্র আমন্ত্রিত।
তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এই শীর্ষ সম্মেলনে থাকবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি যাবেন না। তিনি ভিডিও মারফত যোগ দেবেন। ইউক্রেনে যুদ্ধ অপরাধের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তাই তিনি যাবেন না।
এ বৈঠকের সময়ই প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শেখ হাসিনা সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সাক্ষাৎটা হবে সেপ্টেম্বর মাসে জি-২০ সম্মেলনে দুই নেতার সাক্ষাতের আগে আরও একবার। ব্রিকস সদস্য হতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ভারত প্রস্তুত। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এবার হয়তো সদস্যপদ ঘোষণা নাও হতে পারে। তবে নীতিমালার ঘোষণায় বাংলাদেশের সদস্য হওয়ার পথ প্রশস্ত হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।