লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাজসজ্জার অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে আংটি। হাতের সৌন্দর্য বাড়াতে আংটির জুড়ি নেই। আংটি এমন একটি অলংকার যে নারী-পুরুষ সবাই এটা হাতে পরতে পারেন। বিয়েতে তো বটে, বিগত কয়েক হাজার বছর ধরে এটি পুরুষদের ফ্যাশন স্টেটমেন্টের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। কখনো সেটা সম্পত্তির আড়ম্বর, কখনো বা সেটা একটি মেসেজ বহন করে।
আংটি কোন আঙুলে পরলে কী বোঝায় তা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় পড়েন। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক কোন আঙুলে পরা আংটি কোন অর্থ বহন করে-
কড়ে আঙুল : সাধারণত যারা রিং পছন্দ করেন, তাদের জন্য কড়ে আঙুলে আংটি পরাই আদর্শ। এ আঙুলে আংটি পরার আরো কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। সাধারণত, এ আঙুলের আংটির পরার সঙ্গে বিশেষ কোনো রীতি জড়িয়ে নেই। তাই ইচ্ছে হলে পরে ফেলুন। তাছাড়া, এই আঙুলে আংটি থাকার দরুণ ভারি কাজ করার সময় বিশেষ কোনো সমস্যা হয় না।
অনামিকা আঙুল : সাধারণত ডান বা বাঁ হাতের অনামিকায় বিয়ে বা বাগদানের আংটি পরা হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এই রীতি চলে আসছে। মনে করা হয়, বাগদানের আংটি পরা হয় ডান হাতে। বিয়ের আংটি পরা হয় বাঁ হাতে। আরো একটি ব্যাপার এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে, এই আঙুলের সঙ্গে নাকি হৃদয়ের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই এমন রীতি তৈরি হয়েছে।
মধ্যমা আঙুল : হাতের সব থেক বড় আঙুল। মনস্ততত্ত্ববিদরা বলে, যারা প্রথমবার আংটি পরেন, তারা মধ্যমাকেই প্রথমে বেছে নেন। কারণ একটাই, এটা দেখতে ‘ম্যানলি’ লাগে। তবে যে কোন ভারি কাজের সময় একটু অসুবিধা হতে পারে, তাই ছোট আংটি পরাই ভালো।
তর্জনী আঙুল : বুড়ো আঙুলের পরে আমাদের দৈনন্দিন কাজে যে আঙুলটি সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হয়, সেটা হল তর্জনী আঙুল। গবেষণায় দেখা গেছে, এই আঙুলটি বেশিরভাগ পুরুষই ফাঁকা রাখতে পছন্দ করেন। তবে এটা সাম্প্রতিক ধারণা। কয়েক শো বছর আগে পর্যন্ত এ আঙুলেই আংটি পরতে বেশি পছন্দ করতেন পুরুষরা। এই আঙুল ফ্যামিলি রিং, ফ্রেটারনাল রিং প্রভৃতি পরার জন্য আদর্শ।
বুড়ো আঙুল : সাধারণত এই আঙুলটি আংটি পরার জন্য ব্যবহৃত হয় না। তবে এখনকার শহুরে পুরুষদের মনস্ততত্ত্ব অনুযায়ী, অর্থের প্রাচুর্য, পরিবারের বিরাট সম্পত্তির বহিঃপ্রকাশ করতে অনেকেই এই আঙুলকে আংটি পরার জন্য বেছে নিচ্ছেন। আপনিও পরতে পারেন তবে খেয়াল রাখবেন, আংটি যেন বিরাট আকৃতির না হয়। এমনিতেই সব থেকে মোটা আঙুল এটি। তার ওপর যদি পাথর দেওয়া মোটা আংটি হয়, তবে দেখতে খুবই বেমানান মনে হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।