লাইফস্টাইল ডেস্ক : হাত-পা ঘামা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি অতিরিক্ত হয় তবে তা শুধুই অস্বস্তিকর নয়, বরং শারীরিক জটিলতারও আভাস দিয়ে থাকে। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় ঘাম হওয়াকে ‘হাইপারহাইড্রোসিস’ বলা হয়ে থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে।
শরীরে ঘাম হওয়ার পাশাপাশি নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় ঘাম হতে পারে। যেমন হাত-পায়ের তালু, বাহুমূল কিংবা মুখে। তবে এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত স্থানে ঘামের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে।
হাত-পা ঘামা পরিপূর্ণভাবে রোধ করা সম্ভব নয়। এরপরও কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে এবং পদ্ধতি অবলম্বন করলে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এবার তাহলে হেলথশটস ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী সেই উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক।
হাত-পা পরিষ্কার রাখা: হাত-পা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা জরুরি। এতে ঘামের তীব্রতা ও অস্বস্তি হবে না।
অ্যান্টিপার্সপারেন্টস: বাজারে এমন কিছু প্রসাধনী রয়েছে যা হাত-পায়ের মাত্রাতিরিক্ত ঘাম কমাতে সহায়তা করে। এসব পণ্যতে ‘অ্যালুমিনাম ক্লোরাইড’ নামক উপাদান থাকে। যা ঘাম রোধে সাহায্য করে।
বায়ু চলাচলের যোগ্য জুতা পরা: চামড়া বা ক্যানভাস কাপড়ের তৈরি জুতা পরতে পারেন। এসব জুতায় বাইরে থেকে ভেতরে বায়ু সহজেই চলাচল করতে পারে। ফলে আর্দ্রতা জমবে না এবং পা ঘামবে না।
আর্দ্রতা শোষক মোজা: জুতা পরার সময় মোজা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মোজা পরলে সবসময় সুতি বা বাঁশের তন্তুর তৈরিগুলো ব্যবহার করুন। এসব মোজা সহজেই অতিরিক্ত ঘাম শুষে নেয়।
ট্যালকম পাউডার ব্যবহার: ট্যালকম পাউডার বা কর্নস্টার্চ পাওয়া যায় বাজারে। যা হাত ও পায়ের তালুতে ব্যবহার করলে আর্দ্রতা শুষে নেয়। যা আপনার অতিরিক্ত ঘাম কমাতে কার্যকরী সহায়তা করে থাকবে।
এমএক্স প্লেয়ারের সবচেয়ে সাহসী ওয়েব সিরিজ এটি, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
লেবুর রস: লেবুর রস অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি হাত-পায়ের ঘাম কমাতে সাহায্য করতে পারে। সবুজ লেবুর রস হাত ও পায়ের তালুতে ঘষুন। অথবা একটি পাত্রে কিছু পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে হাত-পা ধুয়ে ফেলুন। স্বাভাবিকভাবে হাত-পা শুকিয়ে যাবে। এরপর তুলনামূলক হাত-পা খুবই কম ঘামবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।