বিনোদন ডেস্ক : এর আগেও এই শো-এর অন্যান্য সিজনে ভয়ঙ্কর কিছু টাস্কের সম্মুখীন হয়েছিলেন প্রতিযোগীরা। কখনও কুমিরের সঙ্গে খেলা, কখনও বা সাপ! বন্য প্রাণীর সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করা থেকে শুরু করে তাদের মুখের সামনে গিয়ে টাস্ক সম্পূর্ণ করা, সবই দেখানো হয়েছে।
এমটিভি ‘রোডিজ’ মানেই ঘাম ঝরানো ভয়ঙ্কর বিভিন্ন কঠিন টাস্ক। সে কথা তো সবারই জানা। তবে এ বারের রিয়ালিটি শো-তে টাস্কের মাত্রা যেন সীমা ছাড়ানো। অন্তত নেটপাড়ার বাসিন্দারা তেমনই মনে করছেন। এ বারের সিজন শ্যুট হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। প্রতিযোগী সিমি তালসানিয়ার কপালে যে টাস্ক জুটল তা কল্পনাতীত। কিন্তু সেই টাস্ক থেকে পালালেন না সিমি। টাস্ক সম্পূর্ণ করে তাক লাগালেন দর্শকদের।
হাতির মল হাতে নিয়ে তার থেকে জুস বানিয়ে পান করতে হবে। শো-এর সঞ্চালক সোনু সুদের ঘোষণা অনুযায়ী, যে এই টাস্ক সম্পূর্ণ করতে পারবেন, তিনি বাড়তি নম্বর পাবেন। এবং শো থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
সিমি ছাড়াও এই টাস্কে অংশ নিয়েছিলেন আরুশী দত্ত, যুক্তি অরোরা, সৌনদোস মৌফকির এবং সাক্ষী। কিন্তু সিমি একা হাতির মল দিয়ে জুস বানিয়ে তা পান করেছেন। বাড়তি নম্বরও পেয়েছেন তার ফলে। সোনুও চমকে উঠেছেন প্রতিযোগীর এই সাহসে৷ প্রশংসার বন্যার মাঝেই সিমিকে প্রশ্ন করা হয়, কেমন স্বাদ সেই জুসের? সিমির কথায়, ‘কুৎসিত!’ তাও ‘রোডিজ’-এ জয়ী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকার জন্য এই কল্পনাতীত কাজটি তিনি করলেন।
এর আগেও এই শো-এর অন্যান্য সিজনে ভয়ঙ্কর কিছু টাস্কের সম্মুখীন হয়েছিলেন প্রতিযোগীরা। কখনও কুমিরের সঙ্গে খেলা, কখনও বা সাপ! বন্য প্রাণীর সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করা থেকে শুরু করে তাদের মুখের সামনে গিয়ে টাস্ক সম্পূর্ণ করা, সবই দেখানো হয়েছে ‘রোডিজ’-এ।
সোনু সুদ এর আগে এক বার একটি বিবৃতি জারি করে এই শো-তে অংশ গ্রহণ করার কারণ জানিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল, ‘এমটিভি রোডিজ সারা দেশে দর্শকদের জন্য অ্যাডভেঞ্চারের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে। এই শো-টি প্রতিযোগীদের শারীরিক বলের পাশাপাশি মানসিক সহনশীলতার উপরে জোর দেয়। আর সেটাই আমাকে এই শো সঞ্চালনা করার দিকে আকৃষ্ট করেছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।