স্পোর্টস ডেস্ক : চাইলে বিদেশে গিয়ে যে কোনও নামজাদা ডাক্তারকে দেখাতে পারতেন। কিন্তু ধোনি গেলেন গ্রাম্য বৈদ্যের কাছে! কেউ হয়তো জানতে পারত না। কাউকে তিনি জানতে দিতেনও না। কিন্তু গ্রামের দুটি মেয়ে তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার পরই সব জানাজানি হয়ে গেল। এম এস ধোনি হাঁটুর ব্যথা নিয়ে হাজির গ্রাম্য বৈদ্যের কাছে।
চাইলে বিদেশে গিয়ে যে কোনও নামজাদা ডাক্তারকে দেখাতে পারতেন ধোনি। কিন্তু তিনি সেটা করলেন না। রাঁচি থেকে কিছুটা দূরে এক বৈদ্যের কাছে গেলেন হাঁটুর ব্যথার ওষুধ আনতে। এমন খবর জানাজানি হতে অবাক সকলে।
বন্দন সিং খেরওয়ার নামের এই বৈদ্য ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জঙ্গল থেকে গাছের শিকড়-বাকড় সংগ্রহ করে ওষুধ তৈরি করেন। যে কোনও ব্যাথায় তাঁর দেওয়া ওষুধ অব্যর্থ বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। ধোনিও তাই গিয়েছিলেন এই বৈদ্যের কাছে।
সেই বৈদ্য জানিয়েছেন, ধোনি দুটি হাঁটুতে ব্যথা নিয়ে এসেছিলেন তাঁর কাছে। ধোনির শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব রয়ছে বলে দাবি তাঁর। ধোনি তাঁর কাছে বেশ কয়েকদিন এসেছিলেন বলেও জানান সেই বৈদ্য।
বন্দন সিং জানিয়েছেন, ধোনিকে তিনি ২০ টাকার ওষুধ দিয়েছেন। আর কুড়ি টাকা নিয়েছে ফি হিসেবে। ধোনি তাঁর আশ্রমে এসে ওষুধ নিয়ে গিয়েছেন। তবে শেষের দিকে ধোনি আর গাড়ি থেকে নামতেন না। আশ্রমের কেউ গিয়ে তাঁকে ওষুধ দিয়ে আসতেন। ধোনি তাঁর আশ্রমে যাওয়ায় বেশ ভিড় হয়ে গিয়েছিল বলে জানান সেই বৈদ্য।
বন্দন সিংয়ের দাবি, ধোনির মা-বাবাও তাঁর থেকে ওষুধ নিয়ে গিয়েছেন। তবে অবাক করা ব্যাপার, বন্দন সিং প্রথমে ধোনিকে দেখে চিনতেই পারেননি। পরে গ্রামের ছেলেমেয়েরা ধোনিকে দেখে ছবি তুলতে চাওয়ায় তিনি জানতে পারেন সবটা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।