লাইফস্টাইল ডেস্ক : ভারতীয় রেলের মাধ্যমে নিয়মিত কোটি কোটি মানুষ তাদের গন্তব্যে পৌঁছান। এই কারণে রেলকে দেশের ‘লাইফলাইন’ বলা হয়। দেশে ৮ হাজারেরও বেশি রেলস্টেশন রয়েছে। কিছু রেলস্টেশন রয়েছে যেখানে মানুষ পা রাখতেই ভয় পায়।
আসলে রাতের বেলায় সেখানে এমনি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়, ভয়ে গা শিউরে ওঠে। এই প্রতিবেদনে তেমনি ৬টি ভুতুড়ে রেলস্টেশন সম্পর্কে বলা হয়েছে।
বারোগ রেলস্টেশন, হিমাচল প্রদেশ : প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, হিমাচল প্রদেশের বারোগ রেলস্টেশনের কাছে থাকা ৩৩ নম্বর টানেলে যাত্রীরা রাত্রিবেলায় যেতে ভয় পান। এমনকি, ওই জায়গায় একাধিক অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করা গেছে বলেও দাবি করেন যাত্রীরা।
রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন, কলকাতা : এই তালিকায় মেট্রো স্টেশনও সামিল রয়েছে। মূলত, আমাদের রাজ্যে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গেই একটি মেট্রো স্টেশনকে রাতের বেলায় এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন যাত্রীরা। মেট্রো স্টেশনটির নাম হল রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন। মূলত, এই স্টেশনে প্রচুর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এমতাবস্থায়, মেট্রো স্টেশনটিতে রাত হলেই অশরীরীরা ঘুরে বেড়ায় বলে দাবি করেন যাত্রীরা।
দ্বারকা সেক্টর ৯ মেট্রো স্টেশন, দিল্লি : দিল্লির এই মেট্রো স্টেশনেও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বলে শোনা যায়। যে কারণে ভয়ে সন্ধ্যের পর থেকেই অনেকে এড়িয়ে চলেন দিল্লির দ্বারকা সেক্টর ৯ মেট্রো স্টেশনটিকে।
নৈনি রেলস্টেশন, উত্তরপ্রদেশ : এই রেলস্টেশনের কাছে থাকা নৈনি জেলে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নির্যাতন করা হত। এদিকে, স্টেশনটিতে একাধিক অস্বাভাবিক ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যার কারণে রাতের বেলায় এই রেলস্টেশনে যেতে ভয় পান যাত্রীরা।
এম জি রোড মেট্রো স্টেশন, দিল্লি : এই তালিকায় দিল্লির আরও একটি মেট্রো স্টেশন রয়েছে। যেটির নাম হল এম জি রোড মেট্রো স্টেশন। মনে করা হয় যে, এই মেট্রো স্টেশনেও অশরীরীদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। তাই, রাত্রিবেলায় যাত্রীরা এড়িয়ে চলেন এই স্টেশন।
দুর্ধর্ষ ফিচারের সঙ্গে ১৬ জিবি র্যামের সুবিধা নিয়ে লঞ্চ হলো ভিভোর নতুন ৫জি স্মার্টফোন
চিত্তুর রেলস্টেশন, অন্ধ্রপ্রদেশ : কথিত আছে, অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর রেলস্টেশনে হরি সিং নামে এক সিআরপিএফ, আরপিএফ এবং টিটিইদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তারপর থেকেই নাকি ওই স্টেশনটিতে বিভিন্ন অস্বাভাবিক কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।