আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারির সময় থেকেই অনলাইনে শপিং করার প্রবণতা বেড়েছে ভারতের মধ্যবিত্তদের মধ্যে। আর উচ্চবিত্তদের মধ্যে বেড়েছে বড় শপিংমল থেকে কেনাকাটার অভ্যাস। যেখানে এক ছাদের নিচে রয়েছে বৈচিত্র্যের সমাহার। ফলে ছোট শপিংমলগুলো পড়ে গিয়েছে অস্তিত্বের সংকটে। আবাসন ক্ষেত্রের পরামর্শদাতা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে।
সংস্থাটি জানাচ্ছে, ৪০ শতাংশ কিংবা তার বেশি অংশ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এমন মলকে ভুতুরে মল বলে যা ভারতজুড়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
ভারতের মোট ২৯টি শহরের মলগুলিকে নিয়ে নাইট ফ্র্যাঙ্কের এই সমীক্ষা। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতাসহ দেশের আটটি বড় শহরও। সেখানে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী এই সমস্ত শহরে মলগুলোতে মোট ১.৩৩ কোটি বর্গফুট জায়গা ফাঁকা পড়ে রয়েছে। নির্মাণকারী সংস্থাগুলো বলছে, এতে ক্ষতি হচ্ছে ৬৭০০ কোটি রুপি। গত বছর এমন মলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৪। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫৭।
শিল্প বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনাকাল থেকেই সাধারণ মানুষ পছন্দের কেনাকাটা থেকে হাত গুটিয়ে রয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে ব্যক্তিগত চাহিদা বৃদ্ধি মাত্র তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ। এই মন্থর চাহিদার প্রভাব পড়েছে ছোট মলগুলির ওপর। অনেক ছোট ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁরা না ব্যবসা চালাতে পারছেন ভুতুড়ে মলে, না বড় মলে দোকান কিনতে বা ভাড়া নিতে পারছেন।
সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, এই প্রবণতা বজায় থাকলে কাজের বাজারে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। ‘থিঙ্ক ইন্ডিয়া থিঙ্ক রিটেল ২০২৪’ রিপোর্ট প্রকাশ করে নাইট ফ্র্যাঙ্ক কর্মকর্তা গুলাম জিয়া বলেন, ‘এমন চললে বহু শপিংমল বন্ধ হয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।