লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমকে বলা হয় ফলের রাজা। অনন্য স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিগুণেও আম বেশ সমৃদ্ধ ফল। তবে আমের রয়েছে আবার অসংখ্য জাত। আর জাতভেদে আমের স্বাদও ভিন্ন ভিন্ন হয়। এর মধ্যে কিছু জাতের আম রয়েছে যেগুলো স্বাদে অনন্য এবং দামটাও অনেক বেশি। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এরকম কিছু জাতের আম সম্পর্কে-
নূরজাহান
মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নূরজাহানের নামে ভারতের এই বিখ্যাত আমের নামকরণ করা হয়েছে । এই আম আকৃতিতে বেশ বড় হয়। একটির ওজনই প্রায় দুই-তিন কেজি হয়। এরকম সাইজের একটি আমের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দেড় হাজার টাকা।
কোহিতুর
এই আমের উৎপত্তিস্থল ভারতের মুর্শিদাবাদ। এই আম গাছে পাকলেই স্বাদ বদলে যায়। তাই পাকার দেড়-দুই দিন আগে পেড়ে রাখা হয়। এই আমও বেশ বড় হয় এবং দামও প্রায় নূরজাহানের মতোই।
সিন্ধ্রি
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে এই জাতের আম হয়। এই আম দেখতে যেমন বড়, স্বাদেও তেমন মিষ্টি। একেকটার দাম প্রায় চার হাজার টাকা।
ম্যানিলা
ফিলিপাইনের এই আম সবচেয়ে মিষ্টি জাতের আম হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলেছে। এটি “কারাবাও” নামেও পরিচিত। এই জাতের একেকটা আমের দাম হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।
আলফনসো
পর্তুগিজ জেনারেল আলফনসো দ্য আলবুকার্কের নামকে ধারণ করে রাখা হয়েছে এই জাতের আমের নাম। ভারতের মহারাষ্ট্রের কঙ্কান অঞ্চলে এই আম বেশি উৎপন্ন হয়। সেখানে এই আমকে “হাপুস” নামেও ডাকা। বর্তমানে বাংলাদেশেও এই আম অল্প পরিমাণে পাওয়া যায়। প্রতি ডজন আমের দাম তিন থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত।
হাকুজিন নো তাইয়ো
জাপানি এই নামের অর্থ “তুষারে সূর্য”। গ্রিন হাউজে উৎপাদন করা হয় এই আম। তাপমাত্রা রাখতে হয় শূন্যের ৮ ডিগ্রি নিচে। একেকটার দাম পরে ২৫ হাজার টাকারও বেশি।
মিয়াজাকি
জাপানি এই আমের রং বেগুনি। সম্প্রতি বাংলাদেশেও এই আমারে চাষ শুরু হয়েছে। বাংলায় নাম দেওয়া হয়েছে সূর্যডিম। বিশ্ববাজারে এই আমের প্রতি কেজির দাম চার লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।