জুমবাংলা ডেস্ক : জমির পরিমাণ দুই গণ্ডা বা ১২ শতাংশ। পুরো জমিতে যে ধান পেয়েছেন তা এক হাজার টাকা মণে বিক্রি করেছেন ৭৫০ টাকা। একই জমির খড় (স্থানীয় ভাষায় ‘ক্ষের’ বলে) বিক্রি করেছেন ৮০০ টাকা। এককথায় ধানের চেয়ে খড়ের দাম বেশি আর গড় হিসাব করলে এই কৃষকেরর লাভের চেয়ে লোকসান বেশি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের সন্না কৃষি মাঠে নিজ জমিতে পাট চাষের সাথে ৪০ টাকা দিয়ে আধা কেজি আমন বীজ বপন করেন স্থানীয় সন্না গ্রামের অক্বার বাড়ির কৃষক ওসমান মিজি। পাট কাটার পর সেই ধানে ৮০০ টাকায় দুই শ্রমিক দিয়ে নিড়ানি দিয়েছেন। নিজেই সেই ধান কেটে বাড়িতে এনে ধান মাড়াই করেছেন। সব মিলিয়ে শুকনা ধান পেয়েছেন ৩০ কেজি।
ওসমান মিজি আরো জানান, এক হাজার টাকা মণ দরে ৩০ কেজি ধান বিক্রি করেছেন ৭৫০ টাকায়। সেই একই জমির ধানের খড় বিক্রি করেছেন ৮০০ টাকা। পাটের জমি হওয়াতে জমিতে বাড়তি সার দেওয়া লাগে না। সার দিলে ব্যাটে-বলে হয়তো সমান হয়ে যেত আর মাঝ দিয়ে নিজের জমির লাভ আর পরিশ্রমটাই বৃথা যেত। জমিতে ইঁদুরের আক্রমণ না হলে আরো কিছু ধান পেতেন বলে জানান তিনি।
ওসমান মিজির ধানের ক্রেতা বাকিলা প্লাজার স্বত্বাধিকারী আবদুল করিম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আমি ওসমান মিয়ার ৩০ কেজি ধান ৭৫০ টাকায় ক্রয় করেছি।’
পেঁচা বিক্রির পোস্ট ফেসবুকে, ক্রেতা সেজে উদ্ধার করলেন বন কর্মকর্তা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।