আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রনেতাই আছেন যারা যৌ’ন কে’লে’ঙ্কারিতে জড়িয়েছেন। তবে এমন এক রাষ্ট্র নেতা ছিলেন যার যৌ’ন কে’লে’ঙ্কা’রির কথা শুনলে থ হয়ে যাবেন।
এক -দুটো নয়, একেবারে ৫০ জনের বেশি রক্ষিতা ছিল তার। যৌ’নতার প্রতি এতটাই মত্ত হয়ে উঠেছিলেন যে নিজের বোনকেও ছাড়েননি তিনি। যে রাষ্ট্রনেতার নাম বলা হচ্ছে তিনি হলেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইদি আমিন।
১৯২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাজধানী কাম্পালার কাছে কোবোকো অখবা এলাকায় জন্ম হয় ইদি আমিনের। খুবই অল্প বয়সে সেনাবাহিনীতে তিনি যোগ দেন। একটা সময় ব্রিটিশ গুপ্তচরদের সঙ্গে হাত মেলান তিনি। ১৯৭১ সালের ২৫ জানুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন।
তবে এই সবকিছুকে ছাপিয়ে বারবার চর্চায় এসেছে ইদি আমিনের যৌ’ন ক্ষু’দার গল্প। ক্ষমতায় এসেই দেশের পুলিশ বাহিনীকে ভেঙে দেন তিনি। তৈরি করেন নিজস্ব একটি কিলার ফৌ’জ। তাদের কাজই ছিল তরুণী মেয়েদের অ’পহ’রণ করে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে তুলে আনা।
তার যৌ’ন লা’লসার হাত থেকে রেহাই পাননি অনেক তরুণীই। বোনের উপরে মা’রা’ত্ম’ক যৌ’ন নি’র্যা’তন চালান তিনি। আমিন বিরোধীদের দাবি, একরাতে একাধিক তরুণীর সঙ্গে স’ঙ্গ’মে লি’প্ত হতেন তৎকালীন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট।
তার যৌ’ন লালসার শি’কা’র হয়েছে বহু নাবালিকা। প্রতিবাদ করলেই পরিবার শুদ্ধ গু’ম খু’ন করা হত তাদের। একটা সময় নিজের বোনের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আমিন। তার যৌ’ন নি’র্যা’তনের জেরে বোন গ’র্ভ’বতী হয়ে পড়েন বলেও জানা গিয়েছিল।
২০০৩ সালের ১৬ আগস্ট সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইদি আমিনের। শেষ জীবনে একসঙ্গে দুই স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। তারা হলেন মদিনা ও সারাহ। মৃত্যুর পর মদিনা দাবি করেন, মোট ৪০ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আমিন।
ব্যক্তিগত জীবনে বহুপত্নীক ছিলেন আমিন। ডজনখানেকের মতো বিয়ে করলেও ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় বিভিন্ন সময় পাঁচ জনকে দিয়েছিলেন ফার্স্টলেডির মর্যাদা। এদের মধ্যে তিন জনকে আবার বেতার ঘোষণার মাধ্যমে তালাকও দিয়েছিলেন আমিন।
তার অন্তত ৪৩ জন সন্তান ছিল বলে জানা যায়। এক সুন্দরীকে নেত্রীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে বসিয়ে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সেই নেত্রী।
জার্মানির কুখ্যাত শাসক হিটলারের ভক্ত ছিলেন আমিন। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘অনেকে হিটলারকে খারাপ লোক মনে করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন বীর, এজন্যই মানুষ তাকে স্মরণ করে।’
শাকিবের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণটা ঠিক কী? যা জানালেন অপু বিশ্বাস
১৯৭৯ সালে তাঞ্জানিয়া এবং আমিন বিরোধী উগান্ডার সেনারা ইদি আমিনকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। সেখানে দশ বছর কাটানোর পর ১৯৮৯ সালে সৌদি আরবে চলে যান আমিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।