বিচিত্রজগৎ ডেস্ক : জীবদ্দশায় কোনো না কোনো নারীর দেখা মিলবেই। কোনো ব্যক্তি যদি সারা জীবন গুহায় না কাটান, তাহলে নারীর দেখা পাবেনই। এমনকি গুহায় থাকলেও দেখা হয়ে যাবে কোনো না কোনো সময়।
কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাপন করেও ৮২ বছরের জীবদ্দশায় কোনো নারীর দেখাই পাননি গ্রিসের এক ব্যক্তি। এলিয়েন না দেখে সবাই যেমন এলিয়েনের ধারণা রাখে, তাঁর কাছে নারীর ব্যাপারে ধারণা ছিল ঠিক এমনই।
ছিল বলার কারণ, এখন আর বেঁচে নেই মিহাইলো টোলোটোস নামের ওই ব্যক্তি। ১৯৩৮ সালে তিনি মারা গেছেন। নারী নিয়ে তাঁর ভাবনা কী ছিল, তা জানা যায়নি। এখন জানা সম্ভবও না।
সংবাদমাধ্যম লেডবাইবেল ডটকম বলছে, ১৮৫৬ সালের দিকে জন্ম হয় মিহাইলো টোলোটোসের। পরপরই তাঁকে এতিম করে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নেয় মা।
সদ্যোজাত শিশুটিকে তখন লালনপালনের দায়িত্ব নেয় মাউন্ট অ্যাথস নামক এলাকার সনাতন সন্ন্যাসীদের একটি আশ্রম। সেখানকার সন্ন্যাসীরা তাঁর দেখভাল করেন।
তবে আশ্রমে নারীদের প্রবেশে কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল। কয়েক শ বছর ধরেই এই নিয়ম কার্যকর ছিল সেখানে। তবে সন্ন্যাসীরা বাইরে বের হলে নারীর দেখা পেতেন। কিন্তু মিহাইলো টোলোটোস কোনোদিন আশ্রমের বাইরেই যাননি।
মিহাইলো টোলোটোস বিভিন্ন বই পড়ে এবং গল্প শুনেই ধারণা নিয়েছেন নারীদের ব্যাপারে। বাস্তব জীবনে কোনোদিন দেখতে পারেননি। এ কারণে মারা যাওয়ার পর তাঁকে বিশেষ সম্মাননা দেন আশ্রমের সন্ন্যাসীরা। ওই সময়কার বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে এ নিয়ে খবরও প্রকাশিত হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।