স্পোর্টস ডেস্ক : রুলফ ভ্যান ডার মারওয়ে। ক্রিকেটের খুব পাড়ভক্ত না হলে তার নামের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার কথা না। এবারের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের হয়ে মাঠে নেমেছেন ৩৮ বছর বয়েসী এই ক্রিকেটার। এটাই তার জন্য প্রথম বিশ্বকাপ। যদিও সুযোগ ছিল এর আগেও বিশ্বমঞ্চে আসার। একসময় যে জ্যাক ক্যালিস, ডি ভিলিয়ার্সদের সতীর্থ ছিলেন তিনি।
ভ্যান ডার মারওয়ের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে। বেড়ে ওঠা, ক্রিকেটের হাতেখড়ি সবটাই হয়েছে সেখানে। ২০০৯ সালে অভিষেকটাও হয়েছে প্রোটিয়াদের জার্সিতে। দারুণ অফস্পিন আর লোয়ার অর্ডারে মারকুটে ব্যাটিং এর জন্য খুব দ্রুতই চলে আসেন পাদপ্রদীপের আলোয়। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জায়গা করে নিয়েছিলেন।
২০০৯ সালের দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার হাতে মারওয়ে
এমনকি সেই বছর দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা উদীয়মান তারকার পুরস্কারও পেয়েছিলেন রুলস ভ্যান ডার মারওয়ে। তবে এই সুখের সময়টা স্থায়ী হয়নি তার। ২০১১ বিশ্বকাপের আগে থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে চলে আসে পালাবদলের হাওয়া। দলে আসতে থাকেন তরুণ ক্রিকেটাররা। তখনই অফফর্মের কারণে অনেকটাই আড়ালে চলে যান মারওয়ে।
২০১১ সাল পর্যন্ত মারওয়ে পড়ে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আশায়। কোন একদিন ডাক পাবেন, এটাই ছিল প্রত্যাশা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা ভালোই খেলতেন। প্রোটিয়াদের হয়ে খেলেছেন ১৩টি টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে।
মসজিদুল আল-আকসা মুসলিমদের কাছে কেন গুরুত্বপূর্ণ? জানুন জানা-অজানা ইতিহাস
বিশ্বকাপের পরেই মারওয়ে বুঝতে পেরেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় আর খেলা হচ্ছেনা তার। মায়ের সুবাদে নেদারল্যান্ডসের নাগরিক হওয়ার সুযোগ ছিল। ২০১৫ সালে সেই সুযোগও চলে আসে। এরপর ডাচদের জার্সিতে খেলেছেন ৩টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দীর্ঘ অপেক্ষার পর চলতি ২০২৩ বিশ্বকাপে অবশেষে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে সুযোগ হলো এই ক্রিকেটারের। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম দুই ম্যাচের হারে অবশ্য সেই আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়ে এসেছে তার জন্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।