বিনোদন ডেস্ক : বাঙালির প্রেমদিবস সরস্বতী পুজো এবং ইংরেজি প্রেম দিবস অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে (২০২৪ সালে এই দুই উৎসবই একই দিনে পড়েছিল: ১৪ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভালবাসাকে আপন করতে পেরেছেন ২৬ বছরের অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। তাঁর সঙ্গে অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যেত অনেকগুলো বছর ধরেই। ৫৩ বছর বয়সি কাঞ্চনের চর্চিত প্রেমিকা হিসেবে লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন শ্রীময়ী। উত্তর কলকাতার একান্নবর্তী পরিবারে বেড়ে-ওঠা মেয়েটা শুরু থেকেই ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন খুব। একে বয়সে দ্বিগুণ এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক, হৃদ্যতা বাড়ার সময় কাঞ্চন আবার বিবাহিত, এক সন্তানের পিতাও। এমন এক পুরুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়ায় এবং সেই বন্ধুত্বকে ঘিরে সমালোচনায় ডিপ্রেশনেও (মানসিক অবসাদ) চলে গিয়েছিলেন শ্রীময়ী। তেমনটাই তিনি নিজ মুখে বলেছেন এক সাক্ষাৎকারে। ২৬ বছরের শ্রীময়ী কীভাবে সামলেছেন গোটা ট্রোলিং পর্ব, তা নিয়ে বিয়ের পর এক ইউটিউব চ্যানেলের কাছে মুখ খুলেছেন তিনি।
শ্রীময়ী সেই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি কোনওদিনও প্রেম দিবস পালন করিনি ছোট থেকে। এইবার আমাকে বাগদেবী আশীর্বাদ করেছেন বলে ভালবাসার মানুষটাকে নিজের করে পেয়েছি। আমার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা শুরুই কাঞ্চনের সঙ্গে। ১০-১২ বছর কাঞ্চনের সঙ্গে মিশে বুঝেছি ও কাউকে পিছন থেকে ছুরি বসাবে না। প্রথমে ভাবিওনি আমরা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ব। লোক বলে-বলে আমাদের প্রেমটা করিয়ে দিয়েছে। তবে আমি কাঞ্চনকে বন্ধু-স্বামী-প্রেমিক হিসেবে পেয়ে ভীষণ ভাগ্যবতী। প্রচুর ডিপ্রেশনে ছিলাম।”
এখানেই থেমে থাকেননি শ্রীময়ী। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছেন, “আমাকে কাঞ্চনের ‘মাল’ বলা হত… আরও বলা হত যে, কাঞ্চন মল্লিক বিধায়ক বলে, ওর পয়সার জন্য মিশছি।” কাঞ্চনকে তিনি ‘সিঁড়ি ধরে ব্যবহার’ করেছেন বলেও গঞ্জনা শুনতে হয় তাঁকে, সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন শ্রীময়ী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “তখনও আমরা জানতাম, আমরা ঠিক। যাঁরা আমাদের শুভাকাঙ্খী তাঁরাও আমাদের সাহস জুগিয়ে বলেছিলেন, দুনিয়াকে নিয়ে ভাববি না তোরা।”
প্রসঙ্গত সম্প্রতি শ্রীময়ী বলেছেন, “আগে কোনও সাক্ষাৎকারে বলিনি, নাম শুনলে চমকে যাবেন, এমন অনেক বর্ষীয়ান অভিনেতা আছেন যারা আমাকে ফোন করে এক কথা বলেছে, আর কাঞ্চনকে ফোন করে আরেক কথা। কেউ তো কোনও সম্পর্ক ভাঙবে বলে শুরু করে না। কেউ চায় না, কাদা ছোড়াছুড়ি হোক। তৃতীয় বিয়ে নিয়ে এত কথা হচ্ছে! যে সংসার করে, সেই বলতে পারবে পাত্রে কতটা ফুটো আছে, কতটা নেই। কাঞ্চন জানে, কাঞ্চনের সম্পর্ক কেন টেকেনি। এখানে তো আমার ঢোকাও উচিৎ নয়।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।