আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্কুলে ক্লাস চলাকালীন শিস দিয়েছিল কোনও এক ছাত্র। সেই ‘অপরাধে’ নবম শ্রেণির সন্দেহভাজন ৭ ছাত্রকে মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণেশ্বরে আরিয়াদহ কালাচাঁদ স্কুলে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত স্কুলের ছাত্রেরা। প্রধান শিক্ষিকার এই অমানবিকতায় সরব হয়েছেন ছাত্রের অভিভাবকেরা। ঘটনায় থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। যদিও শিস দেওয়ার জন্য চুল কাটার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণেশ্বর আড়িয়াদহ কালাচাঁদ স্কুলে নবম শ্রেণির নিপীড়িত ছাত্র সায়ন্তন মান্না জানায়, ভৌত বিজ্ঞানের ক্লাস চলছিল। সেই সময় পিছন বেঞ্চের কোনও ছাত্র শিস দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ক্লাসের শিক্ষিকা জানতে চান, কোন ছাত্র শিসের আওয়াজ করেছে? কোনও জবাব না পেয়ে ওই শিক্ষিকা সন্দেহভাজন ৭ ছাত্রকে প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী মজুমদারের ঘরে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী মজুমদারও জানতে চান, কোন ছাত্র শিস দিয়েছে ক্লাসে। কারোর কাছে জবাব না পেয়ে তিনি শাস্তিস্বরূপ নিজের হাতে কাঁচি দিয়ে ওই ৭ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেন বলে অভিযোগ।
নিপীড়িত ছাত্র সায়ন্তন মান্নার মা পম্পা মান্না সহ অন্যান্য অভিভাবকেরাও এই ঘটনায় সরব হয়েছেন এবং তাঁরা যৌথভাবে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রধান শিক্ষিকার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের একটাই দাবি, শাস্তি অনেক রকম হতে পারে কিন্তু এই ধরনের শাস্তি তাঁরা কোনভাবে মেনে নিতে পারছেন না। এই ঘটনার পর ওই ৭ ছাত্র সহ স্কুলের অন্য ছাত্রেরাও আতঙ্কিত ও ভীত।
ছাত্রদের চুল কাটার ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি দক্ষিণেশ্বর আরিয়াদহ কালাচাঁদ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী মজুমদার। তবে স্কুলের সহ- শিক্ষিকা কমলিকা ঘোষাল শিস দেওয়ার অপরাধে চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “ছাত্রেরা বড় চুল নিয়ে, নায়ক স্টাইলে চুল কেটে স্কুলে আসছিল। প্রতিদিন তাদের বোঝানোর পরেও বড় চুল নিয়ে ছাত্রেরা স্কুলে এসেছে। অভিভাবকদের বলেও কাজ হয়নি। সে জন্যই প্রধান শিক্ষিকা ওই ছাত্রের চুল সঠিকভাবে কেটে দিয়েছেন।” এই ঘটনা ‘কাউন্সিলিং ও শাস্তির মেলবন্ধন’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে যে কারণই ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়া ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্য অসীম দত্ত। তিনি বলেন, “আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ছাত্রদের ওপর কোন অত্যাচার করা যায় না । যে কোনও উদ্দেশ্যেই ছাত্রদের চুল কাটার ঘটনা যথেষ্টই নিন্দনীয়।”
ক্ষুদ্রতম আগ্রাসনেরও অনুশোচনামূলক জবাব দেয়া হবে : ইরানের প্রেসিডেন্ট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।