বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বিভিন্ন ব্রেসলেট বা স্ট্র্যাপ, যেগুলো যে কোনো মানের ঘড়ির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সেগুলোতে যোগ করা যেতে পারে এই শক্তি সংগ্রহ প্রযুক্তি। কখনোই চার্জহীন হয়ে যাবে না এমনই এক ব্যাটারিওয়ালা পরিধানযোগ্য হেলথ ট্র্যাকার উদ্ভাবনের দাবি করেছে ফরাসী এক স্টার্টআপ।
ডিভাইসটির নাম ‘বারাকোডা বিহার্ট’। আর মানব শরীরের গতি ও তাপমাত্রার পাশাপাশি আশপাশের আলো থেকে চার্জ নিতে নিজস্ব ‘এনার্জি হার্ভেস্টিং’ প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে।
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে আয়োজিত ২০২৩ সালের ‘কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স শো (সিইএস)’ প্রযুক্তি মেলায় এর প্রথম ঝলক মেলে। পাশাপাশি, আয়োজনের ‘টেকসই’ বিভাগে সেরা উদ্ভাবনের পুরস্কার জিতে নিয়েছে এটি।
ডিভাইসের নির্মাতা কোম্পানি ‘বারাকোডা’র দাবি, বিভিন্ন ব্রেসলেট বা স্ট্র্যাপ, যেগুলো যে কোনো মানের ঘড়ির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সেগুলোতে যোগ করা যেতে পারে এখনও পেটেন্ট মেলার অপেক্ষায় থাকা ‘বিমোশন’ নামের এই শক্তি সংগ্রহ প্রযুক্তি। বলা হচ্ছে এটি চলতি বিভিন্ন ‘বস্তু, ফ্যাশন বা রুটিনের সঙ্গে তাল মেলানোর’ সুযোগও পাবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় শক্তি আহরণ প্রযুক্তি সম্পর্কিত বেশ কিছু সংখ্যক অগ্রগতি অনুসরণ করেছে বিহার্ট। ২০২১ সালে গবেষকরা এমন এক ব্যবস্থা চালু করেন, যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে ‘অসীম জীবনকাল’ দিয়ে চার্জ ছাড়াই চলার সুবিধা দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
বারাকোডা প্রধানের দাবি, হেলথ ট্র্যাকিংয়ের প্রতি এই ‘ঝামেলামুক্ত ও অদৃশ্য’ মনোভাব তুলনামূলক বেশি লোকজনের কাছে এটি পৌঁছাতে সাহায্য করবে, যারা এখনও ‘চার্জ দেওয়ার’ বা ‘অতিরিক্ত ডিভাইস রাখার’ ঝুঁকি নিতে চান না।
“প্রথম হেলথ ট্র্যাকারগুলো এই বিষয়টি প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার প্রতি উৎসাহ দিতে পারে। তবে, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বিভিন্ন ক্রীড়াবিদের পাশাপাশি আমাদের অন্যদের কাছেও পৌঁছাতে হবে।” –বলেন বারাকোডা’র প্রধান নির্বাহী টমাস সার্ভাল।
“সকল বয়সের ও ফিটনেস স্তরের লোকজনের স্বাস্থ্য ট্র্যাক করতে সহজ উপায় প্রয়োজন। ওই বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের বিভিন্ন পণ্য এমনভাবে নকশা করতে হবে, যা সবার জীবনধারার সঙ্গে মানানসই। এর মধ্যে এমন লোকজনও আছেন, যারা বর্তমান সময়ের প্রযুক্তিকে অপ্রবেশযোগ্য বা এগুলোর ব্যবহার সহজ নয় বলে মনে করেন।”
ডিভাইসটির উৎপাদিত শক্তি বিভিন্ন ‘স্বাস্থ্য তথ্য’ সংগ্রহ করা সেন্সরগুলোকে ক্ষমতা দেওয়ার জন্যেও যথেষ্ঠ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট। বিভিন্ন সহায়ক আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের বেলাতেও এটি প্রযোজ্য।
বারাকোডা বলছে, এইসব সেন্সর পরিধানকারীর শারীরিক শক্তি, স্বাস্থ্যের অবস্থা, মানসিক সহনশীলতা, কার্যকলাপের স্তর ও ঘুমের মান সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এই ডিভাইস বাজারে আসতে পারে এপ্রিলে। এর সম্ভাব্য দাম একশ ডলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।