Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home অতি দাবদাহের পর অতিবৃষ্টি ও বন্যার শঙ্কা
    জাতীয়

    অতি দাবদাহের পর অতিবৃষ্টি ও বন্যার শঙ্কা

    Tarek HasanMay 4, 20245 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ অসহনীয় অতি তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে সহনীয় হয়ে আসছে তাপমাত্রা। গতকাল শুক্রবার যশোর-চূয়াডাঙ্গা,ঈশ্বরদী এবং মংলা বাদে সারাদেশের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির নীচে। বৃষ্টি হয়েছে অধিকাংশ অঞ্চলে। আজ থেকে বৃষ্টিপাতের আরো বিস্তৃতির পূর্বাভাস রয়েছে। শেষ হতে চলেছে খর বৈশাখ। মে মাসে তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও এপ্রিলের মত আর ভয়ংকর হবে না।

    আবহাওয়া

    জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন,অর্ধ শত বর্ষের রেকর্ড ভাঙা টানা ৩৩ দিনের তীব্র তাপদাহের প্রতিক্রিয়া-বিকীরন এবং আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘লা নিনা’র সক্রিয়তার প্রভাবে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে অস্বাভাবিক অতি বৃষ্টিপাত এবং বড় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ মধ্যাঞ্চলে প্রতি বছর যে বন্যা হয়, এবার তা ব্যাপক আকারে রূপ নিতে পারে বলে অভিমত আবহাওয়াবিদদের। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ঘটেছে এবারের এপ্রিলে, যার গড় ছিল মাত্র এক মিলিমিটার। ১৯৮১ সালের পর দেশে এটাই সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের রেকর্ড এবং দেশের শুষ্কতম মাসও ছিল এপ্রিল। সার্বিক গড়ে ৮১ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে গেল এপ্রিল মাসে। এই টানা বৃষ্টিহীনতা এবং বজ্রঝড় না থাকায় অতিমাত্রায় গরমে পুড়েছে দেশ।

    জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস গ্রুপ (সাসকোফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনো বর্তমানে বিরাজমান। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজমান থাকবে। এরপর শুরু হবে লা নিনা। আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনোর’ কারণে অতিরিক্ত গরম পড়ে। অপরদিকে ‘লা নিনার’ কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত, অতিবৃষ্টি, ঝড় ও বন্যা হয়ে থাকে। এল নিনো সক্রিয় হলে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত একটি শুষ্ক রেখা তৈরি হয়। এর উল্টো অবস্থা হলো লা নিনা। এটি তৈরির সময় শুষ্ক রেখাটি উষ্ণ রেখায় পরিণত হয়। এতে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি বেড়ে যায়। আবার দীর্ঘকালীন গড় তাপমাত্রা সীমার ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলা হয় ‘লা নিনা’ আর ওপরে গেলে বলা হয় এল নিনো। সচরাচর এই অবস্থা ৯ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। কখনো কখনো ৩ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। দুই থেকে সাত বছর পরপর এই চক্র ফিরে আসতে পারে। সাধারণত এল নিনো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লা নিনার গঠন শুরু হয়।

    বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই অঞ্চলটিতে যে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে পরিচিত নয় অঞ্চলগুলোর মানুষ। গ্রীষ্মের শেষে বর্ষাকাল আসলেও এতে কোনো সুখবর থাকছে না। তীব্র গরমের পর তীব্র বৃষ্টিতে নাকাল হবে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল। বাংলাদেশসহ পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মধ্য ভূটানের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

    আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা ‘সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুক’ জানায়,২০২৪ সালে দক্ষিণপূর্ব বর্ষা মৌসুমে (জুন-সেপ্টেম্বর) লা নিনার কারণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে।

    এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, এবারের বর্ষায় বৃষ্টিপাত হবে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত। এ দেশে বর্ষায় বৃষ্টিপাত যেমন বেশি হবে, তেমনি বাংলাদেশের উজানে ভারতের রাজ্যগুলোতেও বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বর্ষায় বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে।

    এদিকে বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর নদীগুলোতে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে। নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর নদীর তীরে পানি ওঠায় দ্রুতই প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, সিলেট বিভাগের নদ-নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢল ও হাওর এলাকায় বন্যার আশংকা রয়েছে। ৫ মে থেকে ৭ ই মে পর্যন্ত সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বর্ষাকালের মতো একনাগাড়ে ২ থেকে ৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। সিলেট ও মেঘালয় রাজ্যের উপরে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের আশংকা করা হচ্ছে। ৩০০ মিলিমিটারের বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও কিশোরগঞ্জের বেশিভাগ হাওর এলাকা প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশংকা করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব সিলেট ও কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।

    এদিকে আমাদের সিলেট অফিস থেকে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জানান, বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে হঠাত্ই খরস্রোতা হয়ে উঠেছে সিলেটের নদীগুলো। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট দিয়ে বিপত্সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপত্সীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,এ আবস্থা থাকলে বন্যা দেখা দিতে পারে। শুক্রবার সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এ তথ্য নিশ্চিত করে। পাউবো জানায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১. ০৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে সিলেটে ভারি বৃষ্টিপাতে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলেও বাড়তে শুরু করেছে পানির উচ্চতা। এতে প্ল­াবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। কোনো কোনো নদী দিয়ে বিপত্সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এসব কারণে কৃষকের ফসলও ডুবতে বসেছে। তবে কৃষকেরা দ্রুত ফসল কেটে ঘরে তুলছেন।

    মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠাচ্ছে নাসা?

    পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত বৃহসপতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল, যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। এদিকে কৃষি বিভাগ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে প্রবল বৃষ্টি, ঢল ও বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেছে, কৃষকরা যেন দ্রুত বোরো ধান কেটে ঘরে নিয়ে যান এবং খড় নিরাপদ উঁচু স্থানে সংরক্ষণ করেন।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় অতি অতিবৃষ্টি দাবদাহের পর বন্যার শঙ্কা
    Related Posts
    নতুন ঘর, ভরা সংসার

    নতুন ঘর, ভরা সংসার, তবু শূন্যতা আবু সাঈদের

    July 13, 2025
    ডেঙ্গুতে অশনীসংকেত

    ডেঙ্গুতে অশনীসংকেত, জুনেই ভাঙল পাঁচ মাসের রেকর্ড

    July 13, 2025
    প্রাকৃতিক দূর্যোগে প্রস্তুতি

    প্রাকৃতিক দূর্যোগে প্রস্তুতি:পরিবারের সুরক্ষা গাইড

    July 13, 2025
    সর্বশেষ খবর
    নতুন ঘর, ভরা সংসার

    নতুন ঘর, ভরা সংসার, তবু শূন্যতা আবু সাঈদের

    পরিবারে শান্তি বজায় রাখার টিপস

    পরিবারে শান্তি বজায় রাখার টিপস: আপনার অমূল্য গাইড

    Amazon Influencer Program

    Amazon Influencer Program: How to Join and Succeed

    অভিনেত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

    অভিনেত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, ময়নাতদন্তে উঠে এলো ভয়াবহ চিত্র

    ডেঙ্গুতে অশনীসংকেত

    ডেঙ্গুতে অশনীসংকেত, জুনেই ভাঙল পাঁচ মাসের রেকর্ড

    ছেলেদের স্কিন কেয়ার গাইড

    ছেলেদের স্কিন কেয়ার গাইড: সুস্থ ত্বকের জন্য বিজ্ঞানসম্মত ও সহজ টিপস!

    শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়

    সর্দি-কাশি থেকে সুস্থ থাকার উপায়: প্রকৃতির শীতল স্পর্শে প্রাণের উষ্ণতা ধরে রাখুন!

    Benny Blanco

    Benny Blanco: The Sonic Architect Behind Pop’s Biggest Hits

    নারী নেতৃত্বের ইসলামিক গাইডলাইন

    নারী নেতৃত্বের ইসলামিক গাইডলাইন: ক্ষমতায়নের পথে আলোর সন্ধানে

    আবহাওয়ার পূর্বাভাস বৃষ্টির

    আবহাওয়ার পূর্বাভাস: ঢাকাসহ দেশের ১১ অঞ্চলে ঝোড়ো বৃষ্টির আভাস

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.