বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মঙ্গল গ্রহে হেলিকপ্টার উড়িয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে নাসা। এইভাবে ৪৮তম ফ্লাইট উড়িয়ে ইমেজিং সায়েন্স টার্গেটগুলিকে রিপজিশন করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা এই সংক্রান্ত অপারেশন আগের থেকে অনেকটাই বাড়িয়েছে সম্প্রতি। এখানে উল্লেখ্য, মঙ্গলে মাধ্যাকর্ষণ কম হওয়ায় হেলিকপ্টার ওড়ানো চ্যালেঞ্জিং।
২০২১-এর ১৯ এপ্রিল মঙ্গল গ্রহে প্রথম হেলিকপ্টার ওড়াতে সফল হয়েছিল নাসা। সেদিন মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে বাতাস হঠাৎ এলোমেলো বইতে শুরু করেছিল। তা সত্ত্বেও মঙ্গলে হেলিকপ্টার উড়িয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল নাসা। সেই শুরু, তারপর এখন পর্যন্ত ৪৮টি ফ্লাইট সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলে এই ৪৮তম ফ্লাইটে হেলিকপ্টারটি প্রায় ৩৮৭ মিটার ভ্রমণ করেছিল। লাল গ্রহের পৃষ্ঠের উপর ১২ মিটার উচ্চতায় আরোহণ করেছিল ফ্লাইটটি। এটি পারসিভারেন্স রোভার দ্বারা ক্যামেরাবন্দি করা হয়। যা দু-বছর ধরে মঙ্গলের পৃষ্ঠে কাজ করছে। হেলিকপ্টারটি প্রতি সেকেন্ডে ৪.৬৫ মিটার গতিতে উড়েছিল।
সম্প্রতি নাসার পারসিভারেন্স রোভার একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেই ভিডিও-তে উড়তে দেখা যাচ্ছে ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারকে। মঙ্গলের বুকে ছোটো হেলিকপ্টারটি বাতাসে উড়ছে। সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে সম্ভবপর হয় নাসা। তা সম্প্রতি শেয়ার করা হয়েছে। নিমেষেই সেই ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
নাসা জানিয়েছে, মঙ্গলের বুকে এই ৪৮তম ফ্লাইটের লক্ষ্য ছিল ইমেজিং বিজ্ঞানে লক্ষ্যবস্তুকে পুনঃস্থাপন করা। নাসা মঙ্গল গ্রহে ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারটির কার্যক্রম প্রসারিত করেছে। কারণ ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার নাসার পারসিভারেন্স রোভারের সঙ্গে একটি বিজ্ঞান প্রচারে প্রবেশ করেছে।
এই ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার মঙ্গলের পৃষ্ঠে ট্রন্ডলিং করে পারসিভারেন্স রোভারকে সমর্থন করবে।
এভাবে উন্নত প্রযুক্তিতে পারসিভারেন্স রোভার মঙ্গলের অভ্যন্তরীণ ভূখণ্ডে প্রাচীন জীবাণুর সন্ধান করবে। মঙ্গলে জীবনের প্রমাণ খোঁজার চেষ্টা চালাবে। এভাবেই এই যৌথ প্রয়াসকে বাস্তবায়িত করতে চাইছে নাসা। রোভারের ট্রাভার্সেবল জোনের বাইরে ইমেজিং এই ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার দ্বারা প্রদত্ত ডেটা পারসিভারেন্স রোভারকে সমৃদ্ধ করবে। পারসিভারেন্স রোভারের ‘অধ্যবসায় দল’ বিজ্ঞানের লক্ষ্যমাত্রা মূল্যায়ন করতে সক্ষম হবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে খুব দূরে বা রোভারের ট্রাভার্সেবল জোনের বাইরে ইমেজিং করতে সহায়তা করবে।
নাসার বিজ্ঞানীরা এই মর্মে জানিয়েছেন, সৌর জগতের লাল গ্রহ মঙ্গলে কোনো হেলিকপ্টার ওড়ানো চ্যালেঞ্জিং। কারণ লাল গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ উল্লেখযোগ্যভাবে কম। আমাদের গ্রহ অর্থাৎ পৃথিবীর তুলনায় মঙ্গলের পৃষ্ঠে চাপ মাত্রা ১ শতাংশ। সেইসঙ্গে মঙ্গলে রয়েছে পাতলা বায়ুমণ্ডল। সূত্র: নাসা, রয়টার্স।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।