বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অভিনেত্রী হেমা মালিনী। তবে তিনি পরিচালক ও প্রযোজকও। আজ এই বিখ্যাত অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বলিউডের সুপরিচিত জুটি ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী। কিন্তু তারা থাকেন না একসাথে, সেকথা জানা গেল অভিনেত্রীর জন্মদিন ঘিরে।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ৪৩ বছরের দাম্পত্য, দুই সন্তানের বাবা-মা, তবু এক ছাদের নিচে থাকেন না ধর্মেন্দ্র-হেমা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টি খোলাসা করলেন হেমা মালিনী।
স্বামী ধর্মেন্দ্র থাকেন অন্য বাড়িতে, তিনি থাকেন নিজের বাড়িতে। তাদের আলাদা থাকা নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘কেউ কি চায় এভাবে থাকতে কিন্তু উপায় না থাকলে মেনে নিতে হয়। সব নারীই চায় তার সংসার হোক। সংসার, সন্তান নিয়ে সুখে থাকতে। তবে পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকলে সবকিছু সম্ভব হয় না।’
স্বামী ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘তার ওপর আমার কোনও খারাপ অনুভূতি নেই। আমি ভালো আছি। আমার দুই সন্তান আছে, আমি ওদের খুব ভাল করে মানুষ করেছি। সব সময় উনি (ধর্মেন্দ্র) আমার সঙ্গেই ছিলেন। সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত থাকতেন। দুই মেয়ের বিয়ে তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত, সে কথা বলতেন। আমি সব সময় আশ্বস্ত করতাম, যখন ঠিক সময় আসবে, তখন হবে।’
হেমা মালিনী তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘আমি কাউকে বিরক্ত করতে চাইনি। আমার স্বামী, মেয়েদের জন্য যা করেছেন, তাতে আমি খুশি। এক জন ভাল বাবার যা করা উচিত, তিনি সেই সব দায়িত্ব পালন করেছেন।’
ধর্মেন্দ্র’র প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহিত থাকাকালীন অবস্থায় ১৯৮০ সালে বিয়ে হয় ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনীর। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আইনত বিচ্ছেদ না করেই হেমাকে বিয়ে করেন অভিনেতা। তাদের সম্পর্ক মানতে চাননি হেমা মালিনীর পরিবার। ঠিক একই ভাবে আপত্তি জানান অভিনেতার প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানরা। অভিনেতার প্রথম প্রথম পক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলেও এক বাড়িতে থাকা হয়নি। বিয়ে, সন্তান হলেও সংসার করা হয়নি ধর্মেন্দ্র-হেমার।
উল্লেখ্য, হেমা মালিনী ১৯৬৮ সালে ‘স্বপ্ন কা সওদাগর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষিক্ত হন। তিনি নায়ক ধর্মেন্দ্র ও রাজেশ খান্নার সাথে জুটি হয়ে অনেক হিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সর্বমোট ১১ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পান। ২০০০ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মাননা লাভ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।