স্পোর্টস ডেস্ক : টাইগারদের বোলিং তোপের মুখে মাত্র ৯৮ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। বোলিংয়ে অপ্রতিরোধ্য, ব্যাটিংয়ে আক্রমণাত্মক। টানা ১৮ ওয়ানডে হারের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারে এমনই এক ম্যাচে স্বাগতিকদের হারিয়ে নতুন করে ইতিহাস লিখেছে বাংলাদেশ। যেখানে বড় অবদান পেসারদের। নিউজিল্যান্ডের ১০ উইকেটের সবই গেছে চার পেসারের ঝুলিতে। শরিফুল ইসলাম-তানজিম সাকিবদের এমন পারফরম্যান্সের পর তাদের প্রশংসা ঝড়েছে প্রতিপক্ষের অধিনায়কের কণ্ঠেও।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। টাইগার পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৭ রানের বেশি তুলতে পারেননি কিউইরা। শুরুর দুই উইকেটই নিয়েছেন তানজিম সাকিব। ১৭তম ওভারে সাকিবের সঙ্গে উইকেট পার্টিতে যোগ দেন শরিফুল ইসলাম। টম লাথামকে ২১ রানে ফিরিয়ে দিনের প্রথম শিকার ধরেন এই বাঁহাতি পেসার। নিজের পরের ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আবারও উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি। ১৯তম ওভারে ২৫ রান করা উইল ইয়ংকে সাজঘরে ফেরান। এর এক ওভার পর ফিরে নিজের টানা তিন ওভারেই উইকেট তুলে নেন শরিফুল। এবার ২ রান করা মার্ক চ্যাপম্যানকে ফিরিয়ে কিউই টপ অর্ডার ভেঙে দেন শরিফুল।
অপর প্রান্তে সাকিবও আগ্রাসী ছিলেন। ২৩তম ওভারে ফিরে টম ব্লান্ডেলকে ফিরিয়েছেন তিনি। ৪ রানে ব্লাডেন ফিরলে ২৩ ওভার শেষে মাত্র ৭০ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। শরিফুল-সাকিবের মতোই এদিন কার্যকরী ছিলেন সৌম্য সরকার। নিউজিল্যান্ডের ৬ উইকেট পরার পর বোলিংয়ে এসে ৩ উইকেট তুলে নেন সৌম্য। আর কিউইদের কফিনে শেষ পেরেকটা মারেন মোস্তাফিজুর রহমান। তাতে একশর আগেই অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচশেষে বাংলাদেশি পেসারদের নিয়ে টম লাথাম বলেন, অবশ্যই আমরা প্রত্যাশার চেয়েও বাজে খেলেছি। বাংলাদেশ (বোলাররা) মুভমেন্ট পেয়েছে এবং ভালো জায়গায় বল করেছে। তাদের প্রশংসা করতেই হবে।
ম্যাচশেষে তাদের বাজে পারফরম্যান্স নিয়েও তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য খুবই নিচুমানের পারফরম্যান্স। ব্যাট হাতে আমরা কোনো জুটিই গড়তে পারিনি। বাংলাদেশ এই পিচে বোলিং করার একটি ভালো উপায় খুঁজে পেয়েছিল, যার উত্তর আমাদের কাছে ছিল না। এ ছাড়া আমরা কোনো চাপ তৈরি করতে পারিনি এবং তাদের ওপর তা ফিরিয়েও দিতে পারিনি। বেশ হতাশাজনক এটি। আমি এটা আশা করিনি যে এটি একটি সাধারণ ম্যাকলিন পার্ক উইকেট হবে।
লাথাম বলেন, বাংলাদেশ বোলিং করার জন্য একটি সুন্দর দৈর্ঘ্য খুঁজে পেয়েছিল এবং তারা কিছুটা সাইডওয়ে মুভমেন্টের সঙ্গে স্টাম্পে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছিল, যা আমরা প্রতিহত করতে পারিনি। পুরো কৃতিত্ব তাদের। হাফওয়ে মার্ক এ, আমরা জানতাম যে তারা ব্যাট নিয়ে বেশ শক্তভাবে আসবে এবং আমাদের লেন্থ থেকে আঘাত করার চেষ্টা করবে যা তারা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, সামগ্রিকভাবে, আপনি সবসময় এ রকম একটি সিরিজ দেখবেন এবং এটা চমৎকার যে আমরা কিছু নতুন খেলোয়াড়কে এই সিরিজে দলে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরেছি, কিছু ছেলেকে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা দিতে পেরেছি। আপনি যখনই হেরে যান, প্রতিটি খেলা খেলেন, আপনি সবসময় শিখতে চান। শেষ তিনটি ম্যাচে, ছেলেরা অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থেকে শিখবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।