বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গণে হিরো আলম একটি আলোচিত নাম। নিজের অশুদ্ধ উচ্চারণে গান গাওয়া, নাটক-সিনেমা তৈরি করা তার কাজ। দেশের কিছু মানুষ সমালোচনা করলেও, হিরো আলম ভক্তেরও কমতি নেই।
বিকৃত ভাবে রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত গাওয়ায় সম্প্রতি ডিবি পুলিশ হিরো আলমকে ডেকে এনে সর্তক করেছেন। তিনি বিকৃতভাবে গান করবেন বলেও পুলিশকে কথা দিয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে আলোচনা এসেছে।
বাংলাদেশের আলোচিত সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনও হিরো আলমকে নিয়ে তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তা হুবহু তুলে ধরা হলো।
বাংলাদেশের হিরো আলম একটা অজ্ঞ, অশিক্ষিত, গুণহীন, ভাঁড় জাতীয় কুৎসিত লোক। সে বাংলা শব্দের উচ্চারণ জানে না, সে বাংলায় কথা বলে। সে গান জানে না, গান গায়। সে নাচতে জানে না, নাচে। সে রাজনীতি জানে না, রাজনীতি করে। সে জানেও না যে সে জানে না এসব। এই ভাঁড়টাকে পুলিশ ডেকে নিয়ে তার ভাঁড়ামো বন্ধ করতে বলেছে। বলেছে যা তুই জানিস না, তা তুই করবি না। মূর্খটা ভয় পেয়ে নাকে খত দিয়ে এসেছে, আর এসব ছাইপাঁশ করবে না।
প্রশ্ন হলো, পুলিশের কাজ কি মানুষকে বলা যা তুই পারিস না তা তুই করবি না? সাহিত্য সংস্কৃতির বিশুদ্ধতা বজায় রাখার ভার পুলিশকে কে দিয়েছে? যে কারও গান যে কেউ গাইতে পারে, হিরোর ছাইপাঁশ যাদের অপছন্দ তারা তার ছাইপাঁশ দেখবে না, ব্যস মিটে গেল। কপিরাইট ইস্যু যেখানে, সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা করবে কপিরাইটওয়ালারা।
পুলিশের কাজ নয় শাসানো। পুলিশ তো দেখছি মানুষের ব্যক্তি জীবনেও এরপর নাক গলাবে, কে কার সঙ্গে প্রেম করছে, কে কার সঙ্গে শুচ্ছে, কে হিজাব পরছে না, কে দাড়ি রাখছে না, এসব নিয়ে প্রশ্ন করতে যাকে তাকে থানায় ডেকে নেবে। পুলিশের কাজ সমাজের ক্রাইম বন্ধ করা। প্রেম করা, সেক্স করা, হিজাব না পরা, দাড়ি না রাখা কোনও ক্রাইম নয়। হিরো আলমের অজ্ঞতাও কোনও ক্রাইম নয়, তার মূর্খতা, গুণহীনতাও কোনও ক্রাইম নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।