জুমবাংলা ডেস্ক : মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম।
তিনি বলেন, এর আগে বগুড়াতে ফুল দিয়েছি। ঢাকায় এবারই প্রথম ফুল দিলাম। কিন্তু এখানকার ফুল দেয়ার পরিবেশ আগের মতো আর নাই। আমার কথা, আমরা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাব, ফুল দিব, কিন্তু এখানকার পরিবেশ আজকে দেখলাম লোক দেখানো। এগুলো ফুল দেয়া বলে না, শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো বলে না।
‘এখানে এসে ফুল দেয়া-না দেয়া করে স্লোগান দেয় ডাইরেক্ট অ্যাকশন, এখানে এগুলো স্লোগান চলে না। এখানে শহীদদের কথা বলবে। এখানে এসে রাজনীতির কথা কেন হবে। আজকে শহীদের কথা বলবে তারা। আর ফুল দেয়ার আগে ফটো সেশন করে। ফটোশুটের জন্য জায়গা তো এটা নারে ভাই।’
মঙ্গলবার সকালে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এসময় শহীদ মিনারের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন হিরো আলম।
সেখানে রাজনীতিতে নিজের সক্রিয়তা নিয়ে কথা বলেন হিরো আলম। সম্প্রতি বগুড়ার দুটি আসন থেকে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে লড়েছিলেন তিনি। কোনো দলের প্রার্থী না হলেও এখন পুরোদমে রাজনীতিতে সক্রিয় বলে দাবি করেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, ‘পুরোপুরি রাজনীতির ভেতর আছি এখন। যেহেতু দেশের লোক ভালোবাসা দিয়েছে। আর দেশের জন্যে কাজ করতে চাই। এ জন্যে জনগণের পাশে থাকতে চাই।’
এদিকে, ভাষার মাসে দেশে ‘পাঠান’ সিনেমা মুক্তির প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনা করেন হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা আমার কাছে লজ্জাজনক। ভাষার মাসে মাতৃভাষার কোনো সিনেমা রিলিজ করা উচিত ছিল। আমি মিডিয়ার লোক হলেও বলব, পাঠান ছবি ভাষার মাসে রিলিজ দেয়ার পক্ষে নয়।’
সম্প্রতি উপহার পাওয়া গাড়ি অ্যাম্বুলেন্সে পরিণত করার বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমি যে গাড়িটি পেয়েছি সেই গাড়ির কাজ চলছে, ২০ দিনের মধ্যে গাড়ির কাজ শেষ হবে। আশা করছি আগামী ২০ দিনের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সটা আমরা জনগণের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে পারবো।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।