বিনোদন ডেস্ক : বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। আসন দুটিতে হিরো আলম ছাড়াও আরো ২১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের কাছে তিনি দুই আসনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ সময় সমর্থকদের সঙ্গে তাঁর বাবাও উপস্থিত ছিলেন।
হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন ও অভিনয় জগত দুটি আলাদা। আমরা যখন অভিনয় করি, তখন অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত থাকি, আর যখন জনসেবা করি, তখন জনসেবা নিয়েই ব্যস্ত থাকি, অভিনেতা হিসেবে জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণকে কিছুই দিব না, তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করব।
এছাড়াও আমি জনগণকে নিয়ে কাজ করি, সবসময় জনগণের পাশে থাকতে চাই, এ কারণে জনগণ আমাকে ভোট দেবেন।
বগুড়া-৬ আসন (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) দুটি আসন থেকেই সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন তিনি। কোনো আসন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছেন হিরো আলম।
মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহের কথা জানান হিরো আলম। রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মনোনয়নপত্র গ্রহণের পর তাঁকে ধন্যবাদ জানান। হিরো আলম দুটি আসনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রতিটি আসনের মোট ভোটারের ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক তালিকাও জমা দেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন হিরো আলম।
উপনির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে হিরো আলম বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য অবশ্যই প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে যাতে কড়া নিরাপত্তা থাকে, ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানান তিনি।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘প্রতে৵কটি মানুষের একটা দল থাকে। যার দলে সে রাজা হতে চায়। আমি আমার দলে রাজা হতে চাই। নির্বাচন করতে নেমেছি। কে দাঁড়াল, কে আমার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী, সেটা নিয়ে আমি ভাবছি না।’ প্রচার-প্রচারণায় এবার চমক থাকবে বলেও জানান তিনি। একসঙ্গে দুই আসনে প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, এক দিন সদর, আরেক দিন কাহালু, অন্যদিন নন্দীগ্রাম উপজেলায় প্রচারণা চালাবেন।
সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার কারণ জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সিংহ প্রতীক নিয়ে লড়েছিলাম। এ জন্য এবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সিংহ প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছি।’ দুটি আসনে জয়ী হলে কোনটি রেখে কোনটি ছাড়বেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিধি অনুযায়ী একটি ছেড়ে দিতে হবে। সেটা জনগণের ওপর নির্ভর করবে। তখন সিদ্ধান্ত নেবেন।
ভোটের প্রচারণার পরিকল্পনা নিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘এখন অনলাইন যুগ। অনলাইনে দ্রুত প্রচার চালানো যায়। মোবাইলে, ইউটিউবে আগে থেকেই প্রচার-প্রচারণা জোরালোভাবে শুরু করার পরিকল্পনা আছে।’
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন হিরো আলম। যাচাই-বাছাইয়ের দুই দফায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়। উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। সেবার সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। তবে নির্বাচনের দিন কারচুপি ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।