বিনোদন ডেস্ক : আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার হিরো আলমের আয় তেমন বাড়েনি। গত ১১ মাসের ব্যবধানে তার আয় বেড়েছে মাত্র ২২ হাজার টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে দাখিল করা হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। যদিও যথাযথভাবে পূরণ না করার কারণে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
কিন্তু মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করেন তিনি।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে হিরো আলম আওয়ামী লীগ-সমর্থিত জাসদের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিমের কাছে হারেন। ঠিক ১১ মাস পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে আবারও প্রার্থী হয়েছেন হিরো আলম। এবারের হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বছরে আয় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষিজমি থেকে ৬ হাজার এবং মিডিয়া ব্যবসা থেকে বাকি টাকা আসে। ব্যাংকে জমা আছে ৩০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে রয়েছে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার। আছে ৫৫ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র। সব মিলিয়ে গত ১১ মাসে মিডিয়া ব্যবসা থেকে তার আয় বেড়েছে ২২ হাজার টাকা। তবে উপনির্বাচনে গাড়ির কথা উল্লেখ করলেও এবারের হলফনামায় গাড়ির ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়াও তার কোনো ঋণ নেই এবং একটি মামলা ছিল সেটিও নিষ্পত্তি হয়েছে।
রোববার (ডিসেম্বর ৩) দুপুরে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে পূরণ না করার কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়া-৪ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন। গত ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাসদের একেএম রেজাউল করিমের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।