বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ভারতের হিরো মটোকর্পের তৈরি সেরা দুই মোটরসাইকেল প্যাশন প্লাস এবং প্যাশন এক্সটেক। হিরো প্যাশন প্লাস নাম শুনে একটু অবাক হতে পারেন। কারণ এই মোটরসাইকেল আজ থেকে প্রায় ৩ বছর আগে বন্ধ করে দিয়েছিল হিরো মটোকর্প। তাহলে এই বাইকের সঙ্গে তুলনা কেন?
চলতি মাসে নতুন করে লঞ্চ হয়েছে হিরো প্যাশন প্লাস। বেশ কিছু আপডেটের সঙ্গে বাজারে পুনরায় এন্ট্রি নিয়েছে এই মোটরসাইকেল। বেস্ট মাইলেজ বাইকের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছে আরও একটি বিকল্প তৈরি হয়েছে।
কমিউটার মোটরসাইকেলের লড়াইয়ে কোন মোটরসাইকেল এগিয়ে? এবং কোনটি কিনলে আপনি ফায়দায় থাকবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
দাম
মোটরসাইকেলের দাম নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন থাকেন। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, হিরো প্যাশন প্লাসের ভারতীয় দাম ৭৬ হাজার ৩০১ রুপি। অন্যদিকে হিরো প্যাশন এক্সটেক বাইকের দাম ৭৮ হাজার ৫২৮ রুপি। এক্সটেক বাইকটির দাম প্যাশন প্লাসের থেকে তুলনামূলক বেশি। তবে এর পিছনে নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে।
ফিচার্স
হিরো প্যাশন প্লাস মোটরসাইকেলে মিলবে টেলিস্কপিক ফ্রন্ট ফর্ক, স্প্রিং লোডেড ডুয়াল শক রিয়ার অ্যাবসর্বার। ব্রেকিংয়ের ক্ষেত্রে ড্রাম ও ডিস্ক ব্রেক বেছে নেওয়ার অপশন পাবেন। তবে হিরো প্যাশন এক্সটেকে থাকছে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইউনিট এবং ইউএসবি সুবিধা। যেখানে হিরো প্যাশন প্লাসে মিলবে কেবল সেমি ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার।
ইঞ্জিন ও পারফরম্যান্স
হিরো প্যাশন প্লাসে ইঞ্জিন রয়েছে ৯৭.২ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলড, ফুয়েল ইনজেকটেড ইঞ্জিন যা সর্বোচ্চ ৭.৯ ব্রেক হর্সপাওয়ার এবং ৮.০৫ এনএম টর্ক তৈরি করে। অন্যদিকে হিরো প্যাশন এক্সটেকে রয়েছে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ইঞ্জিন রয়েছে। এতে আছে ১১৩.২ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলড ইঞ্জিন। এর ফুয়েল ইনজেকটেড ইঞ্জিন সর্বাধিক ৯ ব্রেক হর্সপাওয়ার এবং ৯/৭৯ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে।
উভয় মোটরসাইকেলের রয়েছে ৪ স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স। প্রতি লিটারে ৬০ থেকে ৭০ কিমি মাইলেজ দিয়ে থাকে। হিরো প্যাশন এক্সটেক প্লাসে যেহেতু শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং বেশি ফিচার্স রয়েছে তাই এটির দাম তুলনামূলক বেশি রাখা হয়েছে।
হার্ডওয়্যার
হিরো প্যাশন প্লাসে পাওয়া যাবে টেলিস্কপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং স্প্রিং লোডেড ডুয়াল শক রিয়ার অ্যাবসর্বার। ব্রেকিংয়ের ক্ষেত্রে রয়েছে ড্রাম ব্রেক। তবে আপনি চাইলে ডিস্ক ব্রেকও নিতে পারেন। হিরো প্যাশন এক্সটেকে পাবেন কনভেনশনাল ফ্রন্ট ফর্ক এবং টুইন সক্স সাসপেনশন। দু চাকাতেই থাকবে ড্রাম ব্রেক।
কালার ভেরিয়েন্ট
হিরো প্যাশন প্লাস বাজারে উপলব্ধ তিনটি রঙে – স্পোর্টস রেড, নেক্সাস ব্লু এবং হেভি গ্রে। যেখানে হিরো প্যাশন এক্সটেক মিলবে ক্যান্ডি ব্লেজিং রেড, ফোর্স সিলভার এবং পোলস্টার ব্লু রঙে। সবমিলিয়ে কমিউটার মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে দুই বাইকই সেরা। দামের মধ্যে খুব একটা ফারাক নেই। তবে যারা একটু বেশি পারফরম্যান্স আশা করেন তারা হিরো প্যাশন এক্সটেক বাইকের সঙ্গে যেতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।