বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস ও হোন্ডা শাইন বাইক দুটিই তুলনামূলক কম দামে বেশি মাইলেজ দেয়। বর্তমানে বাজারে কমিউটার সেগমেন্টের এই বাইকগুলোর চাহিদাও অনেক বেশি।
সাধারণত মধ্যবিত্ত পরিবারের পছন্দে থাকে এ সকল বাইক। এবার চলুন বাইক দুটির পারফরম্যান্স এবং মাইলেজ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস
১০০ সিসি ক্ষমতা সম্পন্ন এই বাইকটিতে রয়েছে ৪-স্ট্রোক ইঞ্জিন, সিঙ্গল সিলিন্ডার ওএইচসি প্রযুক্তি। যার ৮,০০০ আরপিএম-এ ৫.৯ কিলোওয়াট শক্তি ক্ষমতাসম্পন্ন। সঙ্গে ৬,০০০ আরপিএম-এ ৮.০৫ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। এতে ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম রয়েছে এবং এর ফোর স্পিড গিয়ারবক্স বাইকটিতে সর্বোচ্চ গতি তুলতে পারে ঘণ্টায় ৮৭ কিলোমিটার পর্যন্ত।
হোন্ডা শাইন
১০০ সিসির এই বাইকটিতেও রয়েছে ৪-স্ট্রোক, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিএস-সিক্স ইঞ্জিন। ৭,৫০০ আরপিএম-এ ৭.৯ কিলোওয়াট শক্তি সম্পন্ন করতে পারে এটি। ৬,০০০ আরপিএম-এ ১১ এনএম টর্ক তৈরি করে। এতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি পিজিএম-এফআই ফুয়েল সিস্টেম রয়েছে। ৫-গতিরসম্পন্ন গিয়ারের বাইকটি সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার।
মাইলেজের তুলনা
ইঞ্জিনের শক্তি ও পারফর্মেন্সের ভিন্নতা থাকায় বাইক দুটির মাইলেজের তারতম্য রয়েছে। হিরো স্প্লেন্ডার প্লাসের মাইলেজ হোন্ডা শাইনের তুলনায় বেশ কিছুটা বেশি। হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস এক লিটার পেট্রোলে ৭০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম। অন্যদিকে, হোন্ডা শাইন এক লিটার পেট্রোলে ৫৫ কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে।
বাইক দুটির দামের তুলনা
কম দামে বেশি মাইলেজের দিক থেকে মধ্যবিত্তের জন্য হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস হতে পারে খুবই সাশ্রয়ী একটি বাইক। বাংলাদেশের বাজারে বাইকটি আসলে এর সম্ভাব্য মূল্য দাঁড়াতে পারে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকার আশেপাশে। বাইকটি ৪টি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়।
অন্যদিকে ক্ষমতা ও গতির দিক থেকে বিবেচনা করলে গ্রাহকদের জন্য হোন্ডা শাইন একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। দেশে যার বাজার মূল্য দাঁড়াতে পারে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার আশেপাশে। বাইকটি ২টি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।