বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : মঙ্গলগ্রহের গেল ক্রেটারে রয়েছে নাসার যান কিউরিওসিটি। তার ভিতরে রয়েছে একটি ছোট্ট রসায়নাগার। বিজ্ঞানীরা কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্য করেছিলেন যে গেল ক্রেটারে কিছু একটা শুঁকে বেড়াচ্ছে তাদের এই রোভার। আর সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করছে তার সঙ্গে থাকা ল্যাব বা গবেষণাগারে।
অবশেষে বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন আদপে ওই গেল ক্রেটারে পাওয়া মিথেন গ্যাস এক আজব আচরণও করে। দেখা যায় মঙ্গলের উপরিভাগ থেকে চুইয়ে এই মিথেন গ্যাস গেল ক্রেটারে প্রবেশ করছে। আবার চুইয়ে বেরিয়েও আসে।
এটাই পরীক্ষা করছিল কিউরিওসিটি। আবার এখানে থাকা মিথেন গ্যাস আজব আচরণও করে। এটি সকালে লুকিয়ে পড়ে। কিন্তু রাত হলেই বেরিয়ে আসে মাটির উপরিভাগে।
আবার বিভিন্ন ঋতুতে তা বিভিন্নভাবে বেড়ে যায় বা কমে যায়। এমনকি ৪০ গুণ পর্যন্তও অনেক সময় বৃদ্ধি পায়। মঙ্গলে কিন্তু আর কোথাও এখনও মিথেনের দেখা মেলেনি। কেবল মিলেছে এই গেল ক্রেটারে। এটাও কেন তা বুঝে উঠতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীতে মিথেন যা পাওয়া যায় তার অধিকাংশটাই প্রাণিদের থেকে আসে। তবে কি মঙ্গলে প্রাণ ছিল? বিজ্ঞানীরা অবশ্য মঙ্গলগ্রহে এখন বা প্রাচীন কোনও সময়েও কোনও প্রাণের অস্তিত্ব ছিল বলে নিশ্চিত নন।
সাশ্রয়ী মূল্যের ফিটনেস ট্র্যাকার নিয়ে আসছে শাওমির ব্যান্ড নাইন
তাহলে মিথেন এল কোথা থেকে? এটা কোনও জিওলজিক্যাল মেকানিজম হতে পারে বলে আন্দাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু যদি তা না হয়? কিন্তু কিউরিওসিটির ল্যাব যা দেখাচ্ছে অর্থাৎ যেভাবে মিথেনের পরিমাণ বাড়ছে, কমছে, সময়ের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে তার চুইয়ে বার হওয়া, তাতে বিজ্ঞানীরা কারণ সম্বন্ধে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। তবে মিথেন যে তাঁদের ভাবাচ্ছে তা প্রশ্নাতীত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।