জুমবাংলা ডেস্ক : বাইশ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় হাটবাজারে নেই ইলিশ মাছ। এতে খাল-বিল, জলাশয় ও পুকুরের মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন খরচ বেশি, আর দেশি মাছের চাহিদা বেশি থাকায় বেড়ে গেছে দাম। এ পরিস্থিতিতে বাজার তদারকির অভাবকেই দুষছেন ক্রেতারা।
জানা যায়, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর — এ ২২ দিন নদ-নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। তাই কদিন ধরে মাদারীপুরের হাটবাজারে দেখা নেই ইলিশের। এ সুযোগে অন্যান্য মাছ বেশি দামে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা।
শহরের পুরান বাজারে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পাইকারি মাছের কেনাবেচা। খাল-বিল, জলাশয় ও পুকুরের দেশি ও চাষের মাছ নিয়ে আসেন জেলেরা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমজমাট হয়ে ওঠে আড়তগুলো। অথচ, এসব মাছের দাম থাকে চড়া। নিয়ন্ত্রণ না থাকায় পাইকারিতে মাছের দাম বাড়ায় প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও। এমন পরিস্থিতিতেই ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলছেন, একদিকে উৎপাদন খরচ বেশি, অন্যদিকে বাজারে বেড়ে গেছে দেশি মাছের চাহিদা। তাই দাম কিছুটা বাড়তি।
সূত্র বলছে, মাদারীপুরে ৮০টি পাইকারি মাছের আড়ত ও ১৮৬টি খুচরা হাটবাজার রয়েছে। জেলায় ২৭ হাজার ১২৩ মেট্রিক টন মাছের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ২৭ হাজার ৭১৩ মেট্রিক টন। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে আবারও পদ্মা ও মেঘনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে ইলিশ মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা। এরপর বাজারে মাছের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পাবদা মাছ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৮০ টাকায়, আর ২২০-২৫০ টাকায় তেলাপিয়া মাছ। প্রতি কেজি কই মাছ ২৮০-৩০০ টাকা, শিং ৮০০-১০০০ টাকা, রুই ৪০০ টাকা ও কাতল ৪০০-৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৯০০ টাকা, আর ৬০০-৮০০ টাকায় শোল ও বোয়াল মাছ।
সোহেল মিয়া নামে শহরের পুরান বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘মাছ উৎপাদনে অনেক খরচ। একই সঙ্গে পরিবহন খরচও বেশি। তাই বাজারে মাছের দাম কিছুটা বাড়তি। তবে ইলিশের সরবরাহ বাড়লে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
মহিষেরচর থেকে আসা ক্রেতা জব্বার খলিফা বলেন, ‘একঘণ্টা ঘুরেও মাছ কিনতে পারছি না। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের দামও বাড়তি। গরিব মানুষের পক্ষে এখন মাছ কিনে খাওয়া কঠিন।’
দাদন আকন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আগে ১৫০০-২০০০ টাকায় ব্যাগভর্তি মাছ কেনা যেতো। এখন ৫০০০-১০০০০ টাকায়ও ব্যাগভর্তি হয় না। মাছের বাজারের এ অবস্থা হলেও দেখার কেউ নেই।’
জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ক্রেতাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রায়ই অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে এক্ষেত্রে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে, নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।