আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা তদারকিতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জাসপার জেফার্স বৈরুতে পৌঁছেছেন। গত ২৬ নভেম্বর এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, জেফার্স বিশেষ অপারেশনস কমান্ড সেন্ট্রাল (SOCCENT)-এর পক্ষ থেকে এই মিশনে যোগ দিয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি তদারকির মেজর জেনারেল জাসপার জেফার্স প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ দূত অ্যামোস হকস্টেইনের সঙ্গে দায়িত্বে থাকবেন। সেন্টকম জানায়, এই পর্যবেক্ষণ দলটিতে লেবানিজ আর্মড ফোর্সেস (এলএএফ), ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল), এবং ফ্রান্সের প্রতিনিধিরাও অন্তর্ভুক্ত।
সেন্টকমের বিবৃতিতে বলা হয়, এই দল হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে শত্রুতা বন্ধে সমঝোতার বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক সপ্তাহের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এর মধ্যেই সিরিয়া-লেবানন সীমান্তে অস্ত্র পাচারের অভিযোগ নিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শনিবার জানায়, তারা সীমান্তে ‘সামরিক অবকাঠামোতে হামলা’ চালিয়েছে। অভিযোগ করা হয়, হিজবুল্লাহ অস্ত্র পাচারের জন্য এই সীমান্তপথ ব্যবহার করছে।
ইউক্রেন ন্যাটোর ছাতার নিচে এলে যুদ্ধ শেষ হতে পারে: জেলেনস্কি
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়া থেকে লেবাননে অস্ত্র পাচারের জন্য হিজবুল্লাহ সীমান্ত ক্রসিংগুলো ব্যবহার করছে, যা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ দল এ বিষয়ে তদারকি চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সীমান্ত উত্তেজনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।