জুমবাংলা ডেস্ক : মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে বুধবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে। আগামী ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
ফলে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে বাজারে ইলিশের দেখা মিলবে না। বুধবার রাত পর্যন্ত ইলিশ বিক্রির শেষ সময় ছিল।
ইলিশের মৌসুমে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এবং দক্ষিণ তেমুহনীতে ইলিশের জমজমাট হাট বসে। জাতীয় মাছের স্বাদের আশায় ক্রেতারাও গভীর রাতে এ দুই হাটে ভিড় করেন।
বিশেষ করে জেলা উত্তর তেমুহনীতে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের উপস্থিতি থাকে লক্ষণীয়।
তবে ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের বাজারগুলোতে ইলিশ বিক্রির ধুম পড়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাটে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
তবে বিক্রেতারা দাম হাঁকাচ্ছে তুলনামূলক অন্য দিনের থেকেও কিছুটা বেশি।
বুধবার রাতে দক্ষিণ তেমুহনী হাটে দেখা যায়, প্রতিটি এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম হাঁকাচ্ছে ১৬০০-১৭০০ টাকা। প্রতিটি ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি হাজার থেকে ১২০০ টাকা। আর ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৮০০-৯০০ টাকা। আড়াই থেকে তিনশ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। জাটকার কেজি হাঁকানো হচ্ছে ৬০০ টাকার ওপরে।
বিক্রেতারা বলছেন, বিক্রির শেষ দিন, তাই ক্রেতাদের কাছে ইলিশের চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন- শেষদিন হওয়ায় দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। অনেক ক্রেতা গভীর রাতে ইলিশ কেনার আশায় হাটে এলেও খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন।
পৌর শহরের বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন নামে একজন ক্রেতা বলেন, শেষ রাতে ইলিশ কেনার আশায় হাটে আসলাম। কিন্তু যেভাবে দাম হাঁকানো হচ্ছে, তাতে মাছ না কিনে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছি।
ক্রেতা নুর নবী ও নাজিম উদ্দিন বলেন, অন্যদিনে মাছের দাম আরও কিছুটা কম ছিল। কিন্তু আজ শেষ বিক্রির সময় হওয়ায় বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। হাটে ক্রেতার সংখ্যাও বেশি, এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন বিক্রেতারা।
পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকার বাসিন্দা শাকের রাসেল বলেন, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনেছি সাড়ে ৯শ টাকা কেজি দরে। যা অন্যদিনের চেয়েও দাম কিছু বেশি মনে হয়েছে।
মাছ বিক্রেতা শ্রীবাস সাহা বলেন, মৌসুমের শেষে আজ মাছ ঘাটে দাম বেশি। তাই বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।