সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে মা-ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকলেও আইন অমান্য করে ইলিশ পার্টির আয়োজন করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তারা।
গত সোমবার রাতে মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের চরাঞ্চলে এই ইলিশ পার্টির আয়োজন করা হয়।
এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ঢাকা অঞ্চল) আহসানুল বাশার, মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মোহাম্মদ মামুন ইয়াকুব, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আলম, দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল হকসহ আরো কয়েকজন অংশ নেয়।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ আলম বলেন, গত সোমবার ঢাকা থেকে অতিরিক্ত পরিচালক স্যার এসেছিলেন। ডিডি স্যার ও অতিরিক্ত ডিডি স্যারসহ দৌলতপুরে একটা মিটিং ছিল। মিটিং শেষে রাতে চরে এক কৃষকের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে ইলিশ-খিচুরি খেয়েছি। ইলিশের দাম একটু বেশি। তাই বেশি ইলিশ দিতে পারেনি। ৫-৬টা ইলিশ মাছ কাটা ছাড়িয়ে খিচুরির সাথে মিক্সড করে রান্না করেছিল। খেতেও খুব সুস্বাদু হয়েছিল। খুবই ভালো লেগেছে।
ইলিশ-খিচুরির বিষয়টি স্বীকার করে উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, দৌলতপুরে মিটিং শেষে আমরা বাচামারা চরে এক কৃষকের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেই কৃষক আমাদের ইলিশ-খিচুড়ি দিয়ে আপ্যায়ন করেছেন।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, এটা আসলে নৈতিকতার ব্যাপার। সরকারি কর্মকর্তা হয়ে তাদের আইন অমান্য করা ঠিক হয়নি।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এ বছর ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মা ইলিশ রক্ষা করতে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী ব্যক্তির সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।