বিনোদন ডেস্ক : গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু মারা গেছেন। তবে এ বিষয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান জানিয়েছেন, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা নিশ্চিত নয়। তবে হিমু আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে না।
রওনক হাসান জানান, ‘কোন মানুষেরই অপমৃত্যু আসলে কাম্য নয়। এটা বেদনাদায়ক। আমাদের কত বছরের কাজ, আড্ডা, পরিচয় সবকিছু মিলিয়ে বিষয়টি খুবই কষ্টের। আমরা যতটুকু হিমুকে চিনি ও আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে নয়। এর সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার।’
তিনি আরও জানান, ‘হিমুর কোন অর্থকষ্ট ছিল না। কাজের সমস্যা ছিল না। খুবই কনফিডেন্ট একটি মেয়ে হিমু। একা চলার মতো সাহস ওর ছিল। একাই গাড়ি ড্রাইভ করত। তবে ওর মা মারা যাওয়ার পর একটু ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু এই কারণে আত্মহত্যা করবে এমনটি নয়।’
রওনক বলেন, ‘ঘটনার মধ্যে রহস্য আছে। ওইদিন উপস্থিত ছিল জিয়া ও মিহির। এই ঘটনায় জিয়া বলছে, ঘটনার সময় সে নাকি বাথরুমে ছিল আর মিহির বলছে, ওরা দুজনই এক ঘরে ছিল। দরজা খুলে মিহির দেখে হিমুর পা জড়িয়ে জিয়া বসে আছে। তবে ঘটনার মধ্যে ফাঁক তৈরি হয়েছে। এই মাঝখানের সময়টুকুতে আসলেই কী হয়েছিল তার সত্যতা আমাদের বের করা দরকার। নিশ্চয় পুলিশ সেটা করবে।’
তার ভাষায়, ‘আমাদের শিল্পী সংঘ শিল্পীদের জন্য একটি পরিবার। ২০১৭ সালে শিল্পী সংঘ আবার পুনর্গঠিত হয়। আমি মনে করি আমার বিপদে আপদে শিল্পী সংঘ সবসময় পাশে থাকবে। তেমনি অন্যরাও তাই মনে করেন। আমরা এই সংঘের পক্ষ থেকে লিগ্যাল উইংস গঠন করেছি। কারও কোন সমস্যা হলে সেটা নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। সুস্থতার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ডা. এজাজ ভাই আমাদের অফিসে নিয়মিত বসেন। গতকাল থেকে আমরা শিল্পী সংঘ হিমুর পাশে ছিলাম।’
এদিকে হুমায়রা হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রুফি ওরফে উরফি জিয়ার কাছ থেকে নানা ধরণের তথ্য পেয়েছে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হিমুর প্রেমিক উরফি জানিয়েছেন, তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন এবং তাকে মাদক এনে দিতেন হিমুর বাসায় থাকা মিহির।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।