একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে বলিউডের জনপ্রিয় হিন্দি গানে তাল মিলিয়ে নাচলেন তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। কিশোর কুমার থেকে মোহাম্মদ রফির গানে তার মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশনের ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক।
পারিবারিক মঞ্চেই বলিউড গানে তাল
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি কৃষ্ণ কল্যাণী একটি ঘরোয়া পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে “সীতা অর গীতা”, “তিসরি মঞ্জিল”-এর মতো জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমার গানে তাঁকে নাচতে দেখা যায়। উপস্থিত অতিথিদের সামনে অত্যন্ত সাবলীলভাবে একের পর এক গানে পারফর্ম করেন তিনি।
ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটদুনিয়ায় সমালোচনার ঝড়
তবে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পরেই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। অনেক নেটাগরিক রাজ্যের বর্তমান বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি ও জনজীবনের দুর্দশার প্রেক্ষাপটে একজন জনপ্রতিনিধির এমন নির্ভার বিনোদনমূলক অংশগ্রহণকে ভালোভাবে নেননি।
একজন মন্তব্য করেছেন, “বাংলার যুবকরা চাকরি পাচ্ছে না, আর বিধায়ক সাহেব নাচে ব্যস্ত!”
আরেকজন লেখেন, “এইটাই উন্নয়ন! রায়গঞ্জবাসী বুঝবেই না।”
রাজনীতির উত্থান ও বর্তমান ভূমিকা
উল্লেখ্য, কৃষ্ণ কল্যাণীর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে। সেই নির্বাচনে জিতে রাজনীতিতে প্রথমবার পা রাখেন তিনি। পরে তিনি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
তিনি প্রায় আড়াই বছর বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২৪ সালের শুরুতে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সেবার তিনি পরাজিত হন।
তবে এরপর রায়গঞ্জ বিধানসভায় উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি এবং ফের বিধায়ক পদে আসেন।
নেটাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন
নেটমাধ্যমে এই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিভক্ত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। একদল মনে করছেন, ব্যক্তিগত জীবনের আনন্দ প্রকাশ করাও একজন জনপ্রতিনিধির অধিকার, আবার অন্যদল বলছেন—জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে এমন সময়োপযোগী আচরণ তার কাছ থেকে আশা করা যায় না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন, “উনি তো মানুষ, নাচতেই পারেন, কিন্তু সময়টা তো বুঝতে হবে।” অন্য একজন কটাক্ষ করেন, “নাচের ভিডিও আপলোড করলেও উন্নয়নের কাজ কখন হবে?”
তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে নাচের ভিডিও যতটা বিনোদন দিয়েছে, ততটাই বিতর্ক তৈরি করেছে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন জনপ্রতিনিধির আচরণ, দায়িত্ববোধ ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।