আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেমিক প্রেমিকা দু’জনে আলাদা ধর্মের, সেই কারণে প্রেমিকের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিল জনতা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগরায়। যে যুবকের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে তার নাম সাজিদ, আগরার রুনকতা অঞ্চলের একটি জিমে প্রশিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে তা আন্দাজ করেই অবশ্য সোমবার এলাকা ত্যাগ করেছেন ওই যুগল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ‘ধর্ম জাগরণ সমন্বয় সংঘ’ নামক একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা সাজিদের বাড়িতে হানা দেয় শুক্রবার। তার বাড়ি ভাঙচুর করার পরে ভাঙচুর করা হয় পাশে থাকা তার আত্মীয়ের বাড়িও। পরে দুটি বাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জনতার দাবি ছিল, সাজিদ ওই মেয়েটিকে অপহরণ করেছে। তাকে গ্রেফতার করে মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। এই ঘটনায় কেউ আহত হননি বলেই আপাতত জানা গিয়েছে। তবে এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্কের রেশ। শুক্রবার ওই হামলার জেরে দোকানও বন্ধ রেখেছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে এলাকার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিকান্দ্রা থানার হাউস অফিসারের বিরুদ্ধেও। আগরার মুখ্য পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট সুধীর কুমার সিংহ সাংবাদিকদের জানিয়েছে, তদন্তে যদি ওই অফিসার দোষী সাব্যস্ত হন, তা হলে পদক্ষেপ নেয়া হবে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধেও। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সাজিদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বছর ২২-এর ওই তরুণীর। কিন্তু ভিন্নধর্মের এই প্রেম মেনে নিতে পারেননি তরুণীর বাড়ির লোক থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ। সেই কারণেই সোমবার পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই যুগল। এই সিদ্ধান্তের ঠিক দু’দিন পরে, অর্থাৎ বুধবার সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে ওই তরুণী জানান, তিনি সাবালিকা। নিজের ইচ্ছেতেই সাজিদের সঙ্গে চলে এসেছেন।
তার পরেই ওই তরুণীকে খুঁজে বের করে পুলিশ, যদিও খোঁজ পাওয়া যায়নি সাজিদের। তার পরিবার একটি মিসিং পার্সন রিপোর্ট দায়ের করেছে থানায়। এ দিকে, তরুণীর পরিবার অভিযোগ করেছে জিমের মালিক ও সাজিদের বিরুদ্ধে। সুধীর জানিয়েছেন, দু’জনেরই বয়স ১৮ বছরের বেশি। আইনের চোখে সাবালক তারা। সূত্র: টাইমস নাউ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।