আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অদেখাকে দেখা ও অজানাকে জানায় মত্ত আধুনিক বিজ্ঞান। পৃথিবীর বাইরের গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্রগুলো নিয়ে চলছে নিরন্তর গবেষণা। সবচেয়ে কাছের উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে আগ্রহ যেন খানিকটা বেশিই।
বহু দেশ চাঁদের মাটিতে পা রাখার চেষ্টা চালিয়েছে। তবে খুব কম সংখ্যকই সফল হয়েছে। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন সফলভাবে চাঁদে যাত্রা করেছে। পৃথিবীর এই চন্দ্র জয়ের ইতিহাসে নতুন করে যুক্ত হলো ভারতের নাম। এএফপি।
অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ চীন। যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সঙ্গে টেক্কা দিতে সামরিক-চালিত মহাকাশ কর্মসূচিতে তারা বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
চীন ২০০৩ সালে চাঁদে প্রথমবার যাত্রা করে। তাদের ‘তিয়ানগং রকেটটি’ মহাকাশ কর্মসূচির রত্ম নামে পরিচিত। মনুষ্যবিহীন চেইঞ্জই-৪ রকেটটি ২০১৯ সালে চাঁদে অবতরণ করেছিল।
২০২০ সালে আবার রোবট মিশনে চাঁদের বুকে পতাকা তুলেছিল চীন। সেখান থেকে শিলা ও মাটির নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। চীন ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে ক্রু মিশন পাঠানোর পর সেখানে একটি ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা করছে।
নাসার আর্টেমিস-৩ মিশনে ২০২৫ সালের মধ্যে একজন নারী ও কৃষ্ণাঙ্গ মহাকাশচারীকে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। ২০২২ সালে আর্টেমিস-১ চাঁদের চারপাশে একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছিল।
আর্টেমিস-২কে নভেম্বর ২০২৪-এর জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে, বোর্ডে থাকা ক্রুদের সঙ্গে একই কাজ করবে। তবে নাসার আরেকটি মিশন আর্টেমিস-৩ চাঁদে মানুষকে অবতরণ করতে পারে না।
ইলন মাস্কের ফার্ম স্পেসএক্স তার প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেটের জন্য চুক্তি করছে। সেটি সফল হতে এখনো বেশ দেরি। সর্বশেষ ভারতের চন্দ্রযান-৩, চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল।
বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করায় বিশ্বের প্রথম দেশ হয়ে উঠেছে ভারত। টানা ৪০ দিনের অপেক্ষার পর নতুন এ ইতিহাস গড়ল ভারত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।