লাইফস্টাইল ডেস্ক : যত দিন যাচ্ছে ততই উন্নত হচ্ছে পৃথিবী। সেই সাথে বেড়ে চলেছে জনসংখ্যাও। কালের নিয়মে বিলুপ্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রাণী প্রাণী এবং উদ্ভিদের প্রজাতি। তবে এখনো পৃথিবীর বহু জায়গায় বেশ কিছু প্রাচীন গাছ লক্ষ্য করা যায়। যার মধ্যে অন্যতম একটি গাছ হল দক্ষিন কোরিয়ার এক জিঙ্ককো বাইলোবা গাছ। ৮০০ বছরের প্রাচীন এই গাছ আজও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ।
এই জিঙ্ককো বাইলোবা গাছের ইতিহাস অবাক করে দেয় পর্যটকদের। শাখা-প্রশাখা সহ এই গাছ সোনালী হলুদ পাতায় পরিপূর্ণ। আজও এই বৃক্ষ দর্শনে এই স্থানে ভিড় করেন বহু পর্যটক। স্বাস্থ্য উপকারিতায় দারুণ কার্যকরী জিঙ্ককো বাইলোবা গাছ। তবে জেনে নেওয়া যাক এই গাছের উপকারিতা সহ সৌন্দর্যের সমস্ত খুঁটিনাটি বিবরণ।
প্রাচীন প্রজাতির এই জিঙ্ককো বাইলোবা গাছ পূর্ব এশিয়ার জিনোস্পার্ম প্রজাতির গাছ। যে গাছটির উচ্চতা 20 থেকে 35 মিটার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সোনার মতো হলুদ পাতাযুক্ত এই গাছের ভিডিও। ছবিতে দেখা যাচ্ছে পাহাড়ে ঘেরা স্থানের মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি গাছ। যা দেখতে কৌণিক মুকুটের মতো লাগছে। গাছটি অসংখ্য শাখা বিশিষ্ট খাঁজ যুক্ত পাতা সজ্জিত। গাছটি যতই বড় হয়েছে গাছের কৌণিক মুকুট পাতা ততই প্রশস্ত হয়ে গাছটির দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করেছে।
চীনে এই গাছের নমুনা পাওয়া যায়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওর গাছটি রয়েছে কোরিয়ার বাংয়ে-রে গ্রামে যে গাছের অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের। তবে এই গাছ শুধু সৌন্দর্যের অধিকারী নয়, ঔষধি গুণও সম্পন্ন। যা চীনা বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রকাশ করেন। আসুন সেই ঔষধি গুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
চীনা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই জিঙ্ককো বাইলোবা গাছের পাতা স্বাস্থ্য উন্নতিতে দারুণ কাজ করে। মস্তিষ্ক সচল রাখতে অত্যন্ত উপকারী এই গাছের পাতার নির্যাস। এছাড়াও স্ট্রোকের রোগীদের ওষুধ এই ভেষজ গাছ থেকে তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে। যা ৩৩০ জনের ওপর প্রয়োগ করে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর পরিমাণে ভাইরাল হয়েছে এই গাছের দৃশ্য। ভিডিওর ভিউজ সংখ্যা দাড়িয়েছে কয়েক লাখের ওপরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।