বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : নেপচুন সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ। এর আবিষ্কারের ইতিহাস এক বৈজ্ঞানিক জয়যাত্রার কাহিনি। এটি সরাসরি পর্যবেক্ষণ হয়নি। আবিষ্কারের আগেই গাণিতিক পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল।
এই গ্রহ ঊনবিংশ শতাব্দীর জ্যোতির্বিজ্ঞানের উন্নতি এবং গাণিতিক শক্তির উজ্জ্বল উদাহরণ।
১৮৪০-এর দশকের প্রথম দিকে, ইউরেনাস গ্রহের গতিবিধিতে কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা যায়। ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী জন কাউচ অ্যাডামস এবং ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইউরবেইন লেভেরিয়ার অনুমান করেন, ইউরেনাসের কক্ষপথের এই অস্বাভাবিকতার কারণ হতে পারে আরেকটি অজানা গ্রহের মাধ্যাকর্ষণীয় প্রভাব।
লেভেরিয়ার এবং অ্যাডামস পরে গাণিতিকভাবে অজানা গ্রহটির ভবিষ্যদ্বাণী করে।
তাঁরা দুজনেই সেই অজানা গ্রহের সম্ভাব্য অবস্থান অনুমান করতে সক্ষম হন। যদিও অ্যাডামসের গণনা প্রথমে গ্রিনউইচ অবজারভেটরির মাধ্যমে যাচাই করা হয়নি অন্যদিকে লেভেরিয়ের কাজ জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং পর্যবেক্ষক জোহান গটফ্রিড গ্যালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
২৩ সেপ্টেম্বর, ১৮৪৬ সালে জার্মানির বার্লিন অবজারভেটরির সাহায্যে গ্যাল নেপচুন গ্রহটি আবিষ্কার করেন। তিনি লেভেরিয়ের গণনাপদ্ধতি অনুসরণ করে নেপচুন আবিষ্কার করেন।
নতুন আবিষ্কৃত গ্রহের নাম দেওয়া হয় রোমান সাগরের দেবতা নেপচুনের নামে। নেপচুনের আবিষ্কার ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণার অন্যতম বড় অর্জন। এবং অ্যাডামস ও লেভেরিয়ের দুজনেই বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা অর্জন করেন।
সবুজ ব্লাউজে ভোজপুরি গানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুললেন এই শিল্পী, একা দেখুন
নেপচুন আবিষ্কারের পর থেকে এর আরো অনেক বৈশিষ্ট্য আবিষ্কৃত হয়। গ্রহটি প্রায় পুরোপুরি হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং মিথেন দিয়ে গঠিত।
১৯৮৯ সালে ভয়েজার ২ মহাকাশযানটি নেপচুনের খুব কাছে পৌঁছে যা। ভয়েজার ২ নেপচুনের বায়ুমণ্ডল, বলয় এবং উপগ্রহগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। নেপচুন এখন সহজেই টেলিস্কোপের সাহায্যে দেখা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।