হিজবুল্লাহর মহাসচিব নাঈম কাসেম সৌদি আরবকে আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন করে ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ অবস্থান নিতে।
শুক্রবার দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, সৌদি আরব যদি হিজবুল্লাহর সঙ্গে ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু করে তবে তা তিনটি নীতির ভিত্তিতে হওয়া উচিত—সংলাপের মাধ্যমে মতপার্থক্য সমাধান, স্বীকৃতি যে প্রকৃত শত্রু ইসরায়েল, এবং পুরোনো বিরোধ স্থগিত করা।
কাসেম বলেন, হিজবুল্লাহর অস্ত্র কেবল ইসরাইলের বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত হয়, ‘লেবানন, সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়।’ তিনি সতর্ক করেন, প্রতিরোধকে দুর্বল করা হলে তার লাভবান হবে শুধু ইসরাইল, আর প্রতিরোধ ভেঙে পড়লে অন্যান্য দেশও হুমকির মুখে পড়বে।
২০১৬ সালে সৌদি নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) হিজবুল্লাহকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করে। সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পক্ষে এবং ইয়েমেনে হুথিদের সমর্থন দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি ও হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
কাসেম ইসরায়েলকে ‘উপনিবেশিক ঘাঁটি’ আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে গণহত্যা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, কূটনীতি, নিষেধাজ্ঞা ও আব্রাহাম চুক্তি কোনো লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি, তাই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এখন গণহত্যাকে সমাধান হিসেবে বেছে নিয়েছে।
হিজবুল্লাহ নেতা আরও বলেন, তাদের প্রতিরোধ ‘অটল’ এবং লক্ষ্য ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো। তবে তিনি জানান, শক্ত অবস্থান থেকেই তারা সংলাপে রাজি।
শুক্রবার দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত দুজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। তেবনিন শহরে একটি সরকারি হাসপাতালের বাইরে এবং আনসার এলাকায় গাড়ি লক্ষ্য করে এ হামলা হয়।
ইসরায়েল দাবি করেছে, এতে হিজবুল্লাহ কমান্ডার আম্মার হায়েল কুতায়বানি ও সংগঠনের রাদওয়ান বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছে। পাশাপাশি নাকুরায় একটি নৌযান ধ্বংস করা হয়েছে, যেটি ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর নজরদারিতে ব্যবহার হচ্ছিল বলে দাবি তোলা হয়েছে।
২০২৪-২৫ করবর্ষে ‘ই-রিটার্ন চ্যাম্পিয়ন’ সনদ অর্জন করল সোনালী ব্যাংক
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম এ হামলাকে ‘ভয় দেখানো ও আগ্রাসন’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এটি গত বছরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও আন্তর্জাতিক নজরদারি ব্যবস্থার সরাসরি লঙ্ঘন।
চুক্তি অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর উত্তর দিকে লিতানি নদীর ওপারে সরে যাওয়ার কথা এবং ইসরায়েলের পুরোপুরি লেবানন থেকে সরে যাওয়ার কথা থাকলেও— ইসরায়েল এখনো দক্ষিণ লেবাননের অন্তত পাঁচটি জায়গায় অবস্থান করছে।
সূত্র: আল জাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।