বিনোদন ডেস্ক : গোপন সম্পর্কে জন্ম নেওয়া সন্তানের কথা স্ত্রীকে বলাটা সহজ নয়। কিন্তু সেই কঠিন কাজটিই হলিউড তারকা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারকে করতে হয়েছিল।
সাবেক স্ত্রী মারিয়া শ্রিভারকে শোয়ার্জনেগারকে একটা পর্যায়ে এসে বলতেই হয়েছিল তার ছেলের নাম ও পরিচয়।
সিএনএন জানিয়েছে, ১৯৭৭ সালে পরিচয়ের পর ১৯৮৬ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন শোয়ার্জনেগার ও শ্রিভার। ২০২১ সালে বিচ্ছেদের আগে তিন দশকেরও বেশি সময় সংসার করেছেন আর্নল্ড ও মারিয়া। দু’জনের মধ্যকার ‘অনাগ্রহ’ ও ‘সম্পত্তি নিষ্পত্তির জটিলতার’ জন্য বহুল আলোচিত এ মামলার নিষ্পত্তি হতে এত সময় লেগেছে বলে সে সময়ে গণমাধ্যমের খবরে এসেছিল। এই সংসারে তাদের চার সন্তান।
শ্রিভারের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে থাকার সময় ১৯৮৬ সালে মিলড্রেড বেনা নামের গৃহকর্মীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ‘দ্য টার্মিনেটর’ এর নায়ক। তাদের একটি ছেলেও হয়, যার নাম জোসেফ বেনা।
শোয়ার্জনেগারের ভাষ্য, “জোসেফ যে আমার সন্তান তা আমি সত্যি প্রথমে বুঝতে পারিনি। কিন্তু সে বড় হওয়ার সাথে সাথে আমার সন্দেহ বাড়তে থাকে। এমনকি মিলড্রেডও আমাকে প্রথমে বলেছিল জোসেফ তার স্বামীর সন্তান। পরে যখন স্পষ্ট হয় যে জোসেফ আমারই ছেলে, তখন বিষয়টি নিয়ে কিভাবে চুপ থাকা যায় সেই চেষ্টাই বড় হয়ে দাঁড়ায়।”
পরে যখন শ্রিভার শোয়ার্জনেগারের কাছে সত্যিটা জানতে চান।
“ প্রথমে আমার হার্টবিট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমি স্বীকার করি। বলি, হ্যাঁ জোসেফ আমারই ছেলে। খুব স্বাভাবিকভাবেই শ্রিভার কষ্ট পেয়েছিল।”
মিলড্রেড বেনার গর্ভে শোয়ার্জনেগারের সন্তানের জন্মের খবর প্রকাশ হলে ২০১১ সালে।
পেশাদার বডিবিল্ডার থেকে তারকা অভিনেতা এবং পরবর্তীতে সফল রাজনীতিবিদ হন শেয়ার্জনেগারের। ২০০৩ সালে রিপাবলিকান পার্টি থেকে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর নির্বাচিত হন; ২০১১ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন তিনি।
১৯৮২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কোনান দ্য বারবারিয়ান’ সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ারে সাফল্য পান শোয়ার্জনেগার। এরপর ‘দ্য টার্মিনেটর’ এবং এর সিক্যুয়েল ‘টার্মিনেটর টু: জাজমেন্ট ডে’, ‘টোটাল রিকল’, ‘প্রিডেটর’সহ আরও কয়েকটি সিনেমা তাকে নিয়ে যায় খ্যাতির শীর্ষে। বতর্মানে শোয়ার্জনেগার অভিনীত সিরিজ ‘ফুবার’ চলছে নেটফ্লিক্সে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।