আতিক হাসান : হলুদ বা হলদি মসলা হিসেবেই বেশি ব্যবহার হয়। হলুদের জন্মায় মাটির নিচে, মানুষের হাতের আঙুলের মতো দেখতে। হলুদ গাছের শিকড় থেকে হলুদ বা হলদি মসলাটা পাওয়া যায়। গাছ থেকে হলুদ কে আলাদা করে ভেঙে নিয়ে সেদ্ধ করা হয়।
তারপর রোদে শুকিয়ে একে শক্ত হলুদে পরিণত করা হয়। লোভনীয় রঙের জন্য হলুদ ছাড়া রান্নার কথা ভাবাও যায় না। কিন্তু হলুদের রঙ হলুদ হওয়ার কারণ কি?
হলুদের ভেতর আছে কারকিউমিন নামে একটা রঞ্জক পদার্থ। হলুদে প্রোটিন সংশ্লেষক একটা পদার্থ থাকে, একে রাইবোজম বলে।
এই রাইবোজমের ভেতরেই পাওয়া যায় কারকিউমিন নামের রঞ্জক পদার্থ।
কোনো বস্তু থেকে যখন আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে এসে পড়ে, তখন সেই বস্তুটা আমরা দেখতে পাই। হলুদ থেকেও সূর্য বা অন্য উৎস থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে পড়ে। তাই আমরা হলুদকে দেখতে পাই।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, সাদা না দেখে কেন হলুদ রঙের দেখি, যেহেতু সূর্যের আলো সাদা।
সূর্যের সাদা আলো আসলে রঙধনুতে যে সাতটি রঙ থাকে- বেগুনী, নীল, আসমানী, হলুদ,সবুজ, কমলা ও লাল- সাদা আলো সেই সাত রঙের মিশ্রণ। হলুদের ওপর যখন এই সাতটা রঙ এসে পড়ে, তখন কারকিউমিন হলুদ রঙ ছাড়া বাকি রঙগুলো শুঁষে নেয়। শুধু হলুদ রঙ প্রতিফলিত করে। তাই আমরা হলুদকে হলুদ রঙে দেখি।
সূত্র : রসায়ন বিজ্ঞান/ পার্থসারথি চক্রবর্তী। সূত্র : কালেরকণ্ঠ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।