জাপানি মোটরবাইক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোন্ডা বাজারে এনেছে তাদের নতুন বৈদ্যুতিক স্কুটার। যার মডেল ‘সিইউভি ই’। স্টাইলিশ হলেও এটি মূলত কার্যকরী ব্যবহার, আধুনিক প্রযুক্তি আর পরিবেশবান্ধব সমাধানের দিকেই বেশি জোর দিয়েছে।
গতিশীল পারফরম্যান্স
স্কুটারটিতে রয়েছে ৬ কিলোওয়াট মোটর, যা সর্বোচ্চ ৫২ মাইল প্রতি ঘণ্টা (প্রায় ৮৪ কিমি/ঘণ্টা) গতিতে চলতে সক্ষম। এটি শহর ও আশপাশের উপশহর এলাকায় সহজে চলাচলের জন্য আদর্শ। তিনটি রাইড মোড, কি-লেস ইগনিশন ও পর্যাপ্ত স্টোরেজ স্পেসসহ এসেছে বেশ কিছু আকর্ষণীয় ফিচার।
উদ্ভাবনী ব্যাটারি সিস্টেম
স্কুটারটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সোয়াপেবল ব্যাটারি প্যাক। এতে একদিকে চার্জ হতে থাকা ব্যাটারি ব্যবহার করা যায়, অন্যদিকে স্কুটারে লাগানো থাকে আরেকটি—ফলে চার্জ শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।
হোন্ডা জানিয়েছে, তাদের মোবাইল পাওয়ার প্যাক (MPP) ভবিষ্যতে রাস্তার পাশে স্থাপিত ‘ব্যাটারি সোয়াপিং স্টেশন’-এর মাধ্যমে সার্বজনীনভাবে ব্যবহার করা যাবে। কোম্পানির লক্ষ্য হলো পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ শক্তিকে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে তোলা।
পরিবেশবান্ধব বিকল্প
যদিও ইভি শিল্পে ব্যাটারি উৎপাদনে বিরল ধাতু খননের কারণে পরিবেশের কিছু ক্ষতি হয়, গবেষণা বলছে—একটি ইলেকট্রিক ভেহিকল (EV) জীবদ্দশায় প্রচলিত পেট্রোল গাড়ির তুলনায় অনেক কম কার্বন নির্গমন করে।
এমআইটির এক গবেষণা অনুযায়ী, গ্যাসচালিত গাড়ি জীবদ্দশায় প্রতি কিলোমিটারে প্রায় ৩৫০ গ্রাম কার্বন নির্গমন করে, যেখানে ইভির ক্ষেত্রে তা ২০০ গ্রাম।
আর যদি সৌরশক্তি দিয়ে চার্জ করা হয়, তবে কার্বন নির্গমন শূন্যের কাছাকাছি নেমে আসে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (IEA) ও মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য বলছে, প্রতি বছর বিশ্বে ১৬.৫ বিলিয়ন টন তেল, কয়লা ও গ্যাস খনন করা হয় প্রচলিত জ্বালানিভিত্তিক যানবাহন চালাতে। এর তুলনায় ইভি ব্যবহার পরিবেশের জন্য অনেক বেশি সহনশীল সমাধান।
ইউরোপের বাজারে প্রথম আসছে
‘সিইউভি ই’ প্রথমে ইউরোপের বাজারে পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেক মার্কিন গ্রাহকই আশা করছেন, এটি দ্রুত সেখানে উন্মুক্ত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।