জুমবাংলা ডেস্ক : শিক্ষিত বেকারের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে নানা পরিকল্পনা নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে এক বছর বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা। শিক্ষার্থীরা পাবে দু’টি সার্টিফিকেট। তিন বছরের অনার্স শেষ করে একটি সার্টিফিকেট এবং এক বছরের কারিগরি শিক্ষার সার্টিফিকেট।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ থেকে ৫০ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে কর্মমুখী শিক্ষায় যুক্ত করাই এর প্রধান লক্ষ্য। এই পরিকল্পনা নিয়ে মানবজমিনে গত ২৩শে ডিসেম্বর (অনার্সে ১ বছর কারিগরি শিক্ষার পরিকল্পনা) একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যাতে বলা হয়েছিল, শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন চায় অন্তর্বর্তী সরকার। উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে সরকার। এরমধ্যে অন্যতম অনার্সের কারিকুলামে পরিবর্তন। চার বছরের কোর্সে তিন বছর সাধারণ ও বিষয়ভিত্তিক পাঠ এবং এক বছর বিষয়ভিত্তিক কারিগরি শিক্ষা বা হাতে-কলমে শিক্ষা। যেসব শিক্ষার্থী সাধারণ বিষয়ে অধ্যয়নরত থাকবেন তাদের জন্য স্পেশালাইজড কোর্সের ব্যবস্থার পরিকল্পনা চলছে।
চূড়ান্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চার বছরের অনার্স কোর্সকে তিন বছরের কোর্স করা হবে। বাকি এক বছরে ডিপ্লোমা ও কারিগরির ওপর ব্যাপকভাবে শিক্ষা দেয়া হবে। তারপর তাদের দুটো সার্টিফিকেট দেয়া হবে। এরমাধ্যমে অনার্স পড়ার যে স্বপ্ন সেটা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার কারণে চাকরি বাজারেও পাবে সফলতা।
রোববার আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পরিকল্পনার কথা জানান শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলাম। তিনি এটাকে অভিনব ও অসাধারণ উল্লেখ করে বলেন, ডিপ্লোমা বা কারিগরি ডিগ্রি নিয়ে অনেকেরই যে নাক সিঁটকানো মনোভাব রয়েছে। এটা একটা ট্যাবু, স্টিগমা রয়েছে গোটা দেশের ভেতর ডিপ্লোমা যদি পড়ে, কারিগরি যদি পড়ে, তাহলে এটা খুব খারাপ একটা বিষয় হবে। লোকের কাছে মুখ দেখাতে পারবে না। এটার জন্য খুব অভিনব ব্যবস্থা করতে যাওয়া হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে।
কারিগরি শিক্ষার আমূল পরিবর্তন আনা হবে জানিয়ে অধ্যাপক আমিনুল বলেন, যেটার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল দেশের জন্য, সেটা সবচেয়ে অনুন্নত অবস্থায় আছে। তাদের যে শিক্ষক দরকার, তার ১৮ পার্সেন্ট রয়েছে। তাদের প্রাকটিক্যাল ও থিওরি আছে। প্রাকটিক্যালের জন্য ল্যাবরেটরি নাই, ট্রেইনার নাই, টিচার নাই। তাই থিওরি পড়িয়ে দেয়া হয়, পরে ভাইভা নেয়া হয়। প্রাকটিক্যাল করানোই হয় না, কিন্তু তার ভিত্তিতেই সার্টিফিকেট দিয়ে দেয়া হয়। এটার আমূল পরিবর্তন করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।