আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের জেরে উত্তেজনা বেড়েছে হরমুজ প্রণালী নিয়ে। ইরান এরইমধ্যে বৈশ্বিক তেল বাণিজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ রুটটি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম হবে আকাশচুম্বী। ধারাবাহিকতায় বাড়বে নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম।
একদিকে পারস্য উপসাগর, অন্যদিকে ওমান উপসাগর ও আরব সাগর। এই সাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে প্রায় ৩০ মাইল দীর্ঘ হরমুজ প্রণালি।
শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ ৮ দেশ- ইরান, ইরাক, কুয়েত, সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের সঙ্গে পুরো বিশ্বের সমুদ্রপথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই প্রণালী।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে এশিয়া, ইউরোপসহ পুরো বিশ্বে তেল সরবরাহের একমাত্র পথ এটি। বিশ্বে প্রতিদিন ব্যবহৃত তেলের এক-পঞ্চমাংশ এই প্রণালি দিয়েই আনা-নেয়া করা হয়। প্রতিদিন চলাচল করে অন্তত ৮৫টি তেলবাহী জাহাজ।
আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের অধীনে হলেও হরমুজ প্রণালীতে ইরানের আধিপত্যই প্রকট। ইরান চাইলে যেকোন সময় বন্ধ করে দিতে পারে গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রান্সজিট।
ইসরায়েলের সঙ্গে বর্তমান দ্বন্দ্বে তারই হুমকি দিয়েছে ইরান। ইসরায়েলি জাহাজ কব্জা করে জানান দিয়েছে আধিপত্য। পশ্চিমাদেশসহ পুরো বিশ্ব এজন্যই উদ্বিগ্ন।
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রভাব এরইমধ্যে স্পষ্ট তেলের বাজারে। বিশ্লেষক বলছেন, যুদ্ধ পূর্ণমাত্রায় শুরু হলে বিশ্বব্যাপী বাড়বে জ্বালানি তেলের দাম। চরম মূল্য গুনতে হবে পুরো বিশ্বকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।