জুমবাংলা ডেস্ক : গ্রামগঞ্জে ঘোড়া দিয়ে মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি আবাদের মৌসুমে হালচাষ করেন অনেকে। তেমনই একজন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা জয়নুদ্দিন পাড়া গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫)। ঘোড়া দিয়ে বছরে লাখ টাকা আয় করছেন তিনি। তার মতো এই এলাকায় রয়েছেন আরো ৫-৬ জন।
গ্রামাঞ্চলে গরু ও মহিষ দিয়ে হালচাষ করতে দেখা গেলেও ঘোড়া দিয়ে হালচাষ খুব একটা আগে হতো না। তবে এখন ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করতে দেখা যাচ্ছে গ্রামাঞ্চলে। শনিবার সকালে নালিতাবাড়ী-কাকরকান্দী সড়কের পাশেই জয়নুদ্দিন পাড়া এলাকায় দেখা যায় ঘোড়া দিয়ে বোরো খেতে মই দেওয়া হচ্ছে।
মই দেওয়া ঘোড়ার মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা অনেক আগে থেকেই ঘোড়া পালেন এবং আবাদের সময় খেতে মই দিয়ে আসছেন। বাবার ঘোড়াটা মেদি ঘোড়া। তিন বছর আগে একটি বাচ্চা দেয়। পরের বছর আমি ওই বাচ্চা ঘোড়াটা ২০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেই। এখন এই ঘোড়া দিয়ে আমি আয় করছি, সংসারের সকল খরচ চলছে। প্রতিদিন আমি এই ঘোড়াটা দিয়ে ৮-১০ একর জমি মই দিয়ে থাকি। এক সিজনে ৬০-৭০ একর জমি মই দেই। প্রতি একরে ৫০০-৬০০ টাকা নেই। সে হিসাবে বছরে দুই আবাদে ঘোড়ার খাবারের খরচ বাদ দিলেও আমার কমপক্ষে লাখ টাকা আয় থাকে।
তিনি বলেন, ঘোড়ার খাবার হিসাবে কুড়া ,বুট, ভুষি ও নালী দিয়ে থাকি। ধান কাটা হলে ঘোড়া দিয়ে আমরা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাই।
জমির মালিক আবদুর রহমান বলেন, আমরা আগে গরু বা মহিস দিয়ে হালচাষ করতাম। এখন মেশিন দিয়ে হালচাষ করি আর ঘোড়া দিয়ে মই দেওয়াই। কারণ ঘোড়া দিয়ে মই দেওয়া সুন্দর হয়। আর সময়ও লাগে কম। গরু বা মহিস দিয়ে মই দেওয়া এতো সুন্দর হয় না।
এ ছাড়াও উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। গরুর চেয়ে ঘোড়া বেশি পরিশ্রমী ও রোগবালাই কম হওয়ায় এটি বেশ লাভজনক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।