Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home মরুভূমিতে গরম জলের ঝরনাটা এল কীভাবে
অন্যরকম খবর

মরুভূমিতে গরম জলের ঝরনাটা এল কীভাবে

Saiful IslamJuly 10, 20234 Mins Read
Advertisement

ইশতিয়াক হাসান : মরুভূমির মধ্যে পানির দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সেখানে নেভাদার এক মরুভূমিতে পাবেন একটি উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলের ঝরনা। ছয় থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত ওঠে যাচ্ছে গরম পানির ফোয়ারা। নিশ্চয় ভাবছেন এটা এখানে এল কীভাবে? যখন শুনবেন এটা তৈরির পেছনে মানুষের হাত আছে আর অঘটনে এর জন্ম, তখন নিশ্চয় চোখ কপালে গিয়ে ঠেকবে।

উষ্ণ প্রস্রবণটি তৈরিতে আছে মানুষের ভূমিকা। ছবি: টুইটার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর নেভাদার ব্ল্যাক রক মরুভূমির মধ্যে ৩ হাজার ৮০০ একর আয়তনের ফ্লাই র‍্যাঞ্চ। সেখানেই দেখা পাবেন আশ্চর্য ওই উষ্ণ প্রস্রবণের, নাম ফ্লাই গিজার। তা একটা নয়, মোচাকৃতি তিনটা কাঠামো দেখবেন এখানে পাশাপাশি। এটা আরও বেশি নজর কাড়ে নানা রঙের মিশেলের কারণে। এমনিতে উচ্চতা বেশি নয়, ফুট ছয়েক। তবে যে খুদে ঢিবি বা টিলাটার ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেটিকে বিবেচনায় আনলে উচ্চতাটা গিয়ে ঠেকবে ১২ ফুটে। তবে এর থেকে বের হওয়া গরম জলের ফোয়ারা ১২ ফুট পর্যন্ত ওঠে যায়।

তবে ফ্লাই গিজারের সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, পুরোপুরি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি নয় এটি। আরও পরিষ্কারভাবে বললে, জিওথার্মাল এনার্জির (পৃথিবীর মধ্যে থাকা উত্তাপ) সঙ্গে মানুষের ভূমিকা মিলিয়েই এর জন্ম।

মরু এলাকা হলেও ফ্লাই র‍্যাঞ্চ গড়ে উঠেছে নেভাদার হুয়ালাপাই জিওথার্মাল এলাকায়। মজার ঘটনা, আসলে এই এলাকায় প্রথম যে গিজারের জন্ম হয়, সেটি কিন্তু ফ্লাই গিজার নয়। ঘটনার শুরু ১০০ বছরের বেশি আগে। মরুকে কৃষিকাজের উপযোগী করতে গিয়ে এর জন্ম।

তিনটি মোচাকৃতি কাঠামো থেকে ফোয়ারার মতো পানি ছিটকায়। ছবি: ফেসবুক

ওই সময় একটি কূপ খুনন করতে মাটির তলার উত্তপ্ত পানির রাজ্যে আঘাত করে বসেন কৃষিশ্রমিকেরা। ওই পানির তাপমাত্রা ছিল ২০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে এই উত্তপ্ত পানি কৃষিকাজে ব্যবহারের উপযোগী না হওয়ায় একে এভাবেই ফেলে রেখে চলে যান তাঁরা। কিন্তু এর ফলে জন্ম হয় এক উষ্ণ প্রস্রবণের। সেখান দিয়ে উত্তপ্ত পানি বের হতে থাকে বছরের পর বছর ধরে।

পরের ঘটনাটি আরও কয়েক যুগ পরের। ১৯৬৪ সালে একটি এনার্জি কোম্পানি প্রথম কূপটার কাছেই দ্বিতীয় আরেকটি কূপ খনন করে। তবে এ ক্ষেত্রে আবার পানি তাঁদের চাহিদামতো গরম ছিল না। এবার এখানে আরেকটি উষ্ণ প্রস্রবণের জন্ম হয়ে ফোয়ারার মতো উষ্ণ পানি বের হতে থাকে। আর এই কূপে যথেষ্ট পানির চাপ থাকায় মূল গিজারটি শুকিয়ে যায়।

বলা হয় কোম্পানিটি কূপ খননের ফলে জন্ম নেওয়া গিজারটির মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন। তবে প্রবল গতির উষ্ণ জল খুব বেশি দিন আটকানো সম্ভব হয়নি। আর এভাবেই জন্ম দ্বিতীয় উষ্ণ পানির ঝরনার, যেটিকে আমরা ফ্লাই গিজার হিসেবে চিনি। এদিকে আগের উষ্ণ প্রস্রবণ ও এবারেরটার পানির ক্যালসিয়াম কার্বোনেটসহ অন্য খনিজগুলো জমে তিনটি মোচাকৃতির কাঠামো তৈরি করে। শুরুতে আকারে ছোট থাকলেও ধীরে ধীরে এগুলো বড় হয়। মোটামুটি ছয় ফুট উচ্চতার এই কাঠামোগুলোর মুখ দিয়েই তীব্র গতিতে উত্তপ্ত পানি বেরিয়ে আসতে থাকে।

উত্তর নেভাদার ব্ল্যাক রক মরুভূমির ফ্লাই র‍্যাঞ্চে গেলে দেখা পাবেন আশ্চর্য এই গরম জলের ঝরনার। ছবি: ফেসবুক

২০০৬ সালে উইলস গিজার নামে আরেকটি গরম জলের ঝরনার খোঁজ পাওয়া যায় এ এলাকায়। এর জন্ম অবশ্য প্রাকৃতিকভাবে। তবে ফ্লাই গিজারের সৌন্দর্যের কারণে এটির প্রতি মানুষের আগ্রহ কমই।

মোটামুটি নানা খনিজ আর উষ্ণ পানিতে বাস করতে পারে এমন শৈবাল মিলিয়ে সবুজ, লালসহ নানা রঙে রাঙিয়েছে ফ্লাই গিজারের মোচাকৃতির কাঠামোগুলোকে। আর এটাই উষ্ণ প্রস্রবণটাকে রীতিমতো অপার্থিব এক সৌন্দর্য দিয়েছে।

একটি খুদে ঢিবি বা টিলার ওপরে ফ্লাই গিজারটি। ছবি: ফেসবুক

ফ্লাই গিজারটির আগের মালিক ছিলেন টড জেকসিক নামের এক ব্যক্তি। পরে ২০১৬ সালের জুনে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বার্নিং মান প্রজেক্ট ৬৫ লাখ ডলার দিয়ে ফ্লাই র‍্যাঞ্চটি কিনে নেয়। মরুর বুকে হলেও ফ্লাই র‍্যাঞ্চে জলা জায়গা, ঝরনা আর ঘেসো জমি আছে। এগুলোকে রক্ষা করাই প্রতিষ্ঠানটি উদ্দেশ্য।

নেভাদার ওয়াশোও কাউন্টির গারলাক শহর থেকে মোটামুটি ২০ মাইল দূরত্বে ফ্লাই গিজারের অবস্থান। স্টেট রুট ৩৪ থেকে খুব বেশি নয় এটি। এমনকি রাস্তা থেকেই চোখে পড়বে এটি। ২০১৮ সালের মে থেকে র‍্যাঞ্চ এলাকাটিকে সাধারণ মানুষের দেখার সুযোগ তৈরি হলেও চাইলেই জায়গাটির একেবারে কাছে যাওয়া যায় না। এখানকার পরিবেশ রক্ষার কারণে সীমিত আকারে পর্যটকদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত ১০ জন কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি পর্যটকের একেকটি দলকে আড়াই ঘণ্টায় ফ্লাই গিজার ও আশপাশের এলাকা ঘুরিয়ে দেখানো হয়।

সূত্র: এল দেট ইন্টারেস্টিং ডট কম, এটলাস অবসকিউরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, উইকিপিডিয়া

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
অন্যরকম এল কীভাবে? খবর গরম জলের ঝরনাটা মরুভূমিতে
Related Posts
Optical-Illusion-Picture

Optical Illusion: ছবিটি বলে দেবে আপনি কতটা অলস

December 15, 2025
Cycle

ছবিটি জুম করে সাইকেলের টায়ার আছে নাকি নেই খুঁজুন

December 15, 2025
অপটিক্যাল ইল্যুশনের ছবি

আপনি কতটা বুদ্ধিমান বলে দেবে এই ছবিটি

December 13, 2025
Latest News
Optical-Illusion-Picture

Optical Illusion: ছবিটি বলে দেবে আপনি কতটা অলস

Cycle

ছবিটি জুম করে সাইকেলের টায়ার আছে নাকি নেই খুঁজুন

অপটিক্যাল ইল্যুশনের ছবি

আপনি কতটা বুদ্ধিমান বলে দেবে এই ছবিটি

বাজপাখি

ছবিটি জুম করে লুকিয়ে থাকা বাজপাখি খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ নিন

অপটিক্যাল ইলিউশন

ছবিটি জুম করে সাইকেলের টায়ার আছে নাকি নেই খুঁজুন

ছবিটি

ছবিটিতে প্রথমে কী দেখলেন তা বলে দিবে অতীত ও বর্তমান

কুকুর

জুম করে ছবিতে লুকানো কুকুরটি খুঁজুন, ৯৯% মানুষ ব্যর্থ হন

অপটিক্যাল ইলুউশন

ছবিটি জুম করে দেখে বলুন লুকিয়ে কে ঘরের বাহিরে গিয়েছিল

Bird

ছবিটি জুম করে লুকিয়ে থাকা বাজপাখি খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ! আপনি পারবেন?

ভূল

বলুন তো এই ছবিতে কোথায় ভূলটি রয়েছে? ৯৯% মানুষ ভুল উত্তর দেন

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.